- করোনা ভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে মৌলভীবাজারের খাবার হোটেল, মিষ্টির দোকান ও বেকারী গুলো। যে কারনে চাহিদা কমে গেছে মুরগীর ডিম ও গরুর দুধের। কিন্তু উৎপাবিশেষ প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করায় সরকারের নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সহ বিভিন্ন অপরাধে ৬৭ জন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। এসময় সামাজিক দূরত্ব, গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়।
- বুধবার (২৭ মে) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শহরের ষ্টেশন রোড, হবিগঞ্জ রোড, নতুন বাজার, পুরান বাজার, মৌলভীবাজার রোডসহ বিভিন্ন সড়কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান মামুন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন নয়ন কারকুন, এসআই মো. আলমগীর হোসেনসহ প্রশাসনের কর্তকর্তাবৃন্দ।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এসবের তোয়াক্কা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। যা করোনা সংক্রমনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর হবো। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জনগণকে কেউ যদি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।দন অভ্যাহত রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলায় মাসে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ পিস ডিম ও ৭ হাজার ৩ শত মেট্রিকটন দুধ উৎপাদন হয়। যার অর্ধেকই বিক্রি হচ্ছেনা। নেমে গেছে ডিম ও দুধের দামও। এর ফলে জেলার ছোটবড় ৪২০টি দুগ্ধ খামারী ও ৬০৫টি মুরগীর খামারীরা পড়েছেন বিপাকে। ব্যাংক ঋণ নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। - প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলছেন বিষয়টি তাদের নজরে আছে, করোনার প্রভাব কেটে গেলে হয়তো খামারীদের জন্য কিছু করতে পারবো।
-
নুর মোহাম্মদ একজন পোল্ট্রি ও দুগ্ধ খামারী। লেখা পড়া শেষে চাকুরীর খোঁজে না গিয়ে শুরু করেন মুরগী ও দুগ্ধ ফার্ম দিয়ে মাংস, ডিম ও দুধের ব্যবসা। ছোট পরিসর থেকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন তার প্রতিষ্ঠানটি। তার মুরগীর লেয়ার থেকে প্রতিদিন ডিম আসে ৩ হাজার পিস। আর দুধ পান ৩শ থেকে ৪শ লিটার। যা দিয়ে ১০জন শ্রমিকসহ নিজের পরিবারের খরচ বহন করেন।
- এদিকে অনেক খামারী চাহিদা না থাকায় উৎপাদিত দুধের বেশির ভাগই খাওয়াচ্ছেন গাভীর বাচ্চাকে। আর ৮ টাকা পিসের ডিম বিক্রি করছেন ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা। বেড়েছে পশু খাদ্যের মুল্যও। এতে মারাত্মক লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের।
- বেলায়েত পোল্ট্রি ফার্ম এন্ড লেয়ায়ের পরিচালক বলায়েত হোসেন বলেন,এ অবস্থা শুধু নুর মোহাম্মদেরই নয় এটি জেলার ছোটবড় ৪২০টি দুগ্ধ খামারী ও ৬০৫টি মুরগীর খামারীর।
- আর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানালেন বিষয়টি সরকারের নজরে আছে করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠার পর তাদের ক্ষতিপূরণের বিষটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
- এই সময়ে তাদের উৎপাদিত দুধ, ডিম ও মাংস সরবরাহের ব্যবস্থাসহ করোনা উত্তর ক্ষতিপুরণের দাবী ক্ষতিগস্থ ব্যবসায়ীদের।
স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ৬৭টি মামলা জরিমানা আদায়
শেয়ার করুন