বিজয়নগরের ফেইসবুকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অসহায় পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে

ডেস্ক নিউজ : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের গ্রামের মৃত সারোয়ার মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৬৫)। অসহায় পরিবারের মধ্যে উপার্জন করার মতো কোন ছেলে না থাকায় হাসিনার একমাত্র মেয়ে আয়েশা (৩০) আছেন। আয়েশা ও অল্প বয়সে বিধবা হলে অন্যের বাড়িতে কাজ করে তাদের জীবন-যাপন চলে। আয়েশার ও জুনেদ নামে (৮) একটি সন্তান বর্তমান মাদ্রাসার ছাত্র। অসহায় পরিবারের ভিডিওটি গত ২০২০ (২৫ রমজান), মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পরলে অনেকে তার পাশে এসে দাড়িঁয়েছেন।
BM Enayet islam নামে ফেইসবুক আইডি থেকে ১৯ মে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।  বর্তমান মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার সকল অসহায় পরিবারকে ত্রাণ ও আর্থিকসহ বিতরণসহ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কিন্তু বর্তমান স্থানীয় প্রতিনিধির কারণে অনেক অসহায় পরিবার কোন সরকারি সহযোগিতা পান না। এমনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে অসহায় মহিলাটি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে ত্রাণ ও টাকা দিচ্ছেন কিন্তু আমি এখনো ১ কেজি চাউল এবং নগদ প্রণোদনা ২৫০০ টাকা তিনি পান নি এ বলে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তিনি আরো জানান, তার স্বামী নেই, আমার মেয়ের ও স্বামী নেই। আমার ঘরে কোন খাবার নেই। আমার একটি নাতী আছে একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তারও লেখাপড়া বন্ধ প্রায়। সেও আমাদের সাথে এ রমজান মাসে অনেকদিন রোজা রেখেছে শুধু পানি খেয়ে সেহেরী-ইফতার করতে হয় এবং আরো অভিযোগ করেন, ১নং ওয়ার্ডের মাহফুজ মিয়া মেম্বার বিরুদ্ধে তিনি আমারসহ অনেক অসহায়দের বিধবা কার্ড ও বয়স্ক ভাতা কার্ড দেন না। টিভিতে দেখেছি আমাদের সরকার দেশের সকল গরীবদের ত্রাণের চাউল ও প্রণোদনার টাকা দিচ্ছেন কিন্তু আমি পায় নাই। যাদের বাড়িতে অনেক কিছু থাকা সত্যেও তারাই সরকারী ত্রাণ ও টাকা পাচ্ছেন।
ফেইসবুকে ভিডিওটি আপলোড করে এনায়েত ইসলাম মহিলাকে জিজ্ঞাস করলে তিনি কান্নাস্বরে বলেন আপনি কি সত্যি করে বলছি সরকারি ত্রাণ বা টাকা পান নাই। তখন ওনি কান্নাস্বরে বললেন আমাদের পাড়ার সবাইকে জিজ্ঞাস করে দেখেন আমাকে কোন ত্রাণ ও টাকা দিছে কি না ।  আমি মাহফুজ মেম্বারের কাছে গিয়েছি ওনি বলেন আমার এখনও বিধবা কার্ড করার সময় হয় নাই।|
জালালাবাদ বার্তাকে এনায়েত ইসলাম জানান, আমি গত কিছুদিন আগে আামাদের একটি Wecare foundation মাধ্যমে কিছু ত্রাণ বিতরণ করতে এসে এই মহিলার সাথে পরিচয় হয়। তখন আমি আমার ফেইসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি ভাইরাল করে সবাইকে দৃষ্ঠি আকর্ষণ করি অসহায় পরিবারের জন্য সবার সাহায্য কামনা করি। তখন দেশ-বিদেশ থেকে অনেক ফোন আসতে থাকে এনায়েতের মোবাইলে। প্রবাসীরা অনেকে ইতিমধ্যে বিকাশের মাধ্যমে এনায়েতের মোবাইলে ও মহিলার নিজস্ব মোবাইলে বিকাশের সাহায্য করেন। বাংলাদেশের ও বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেকে টাকা পাঠাতে শুরু করেন। হাসিনার পরিবারের এখন আর অভাবে না খেয়ে ঈদ করতে হবে না।  হাসিনা এখন হাজারো সন্তানের মা ।  তিনি নামাজ পড়ে দোয়া করেন যারা আর্থিক সাহায্য সহ নানা ভাবে সহযোগিতা করছেন তাদেরকে যেন আল্লাহ ভাল রাখেন। ওনাকে টাকা দিয়ে ঈদের বাজার, ওষুধ, একটি টিউবওয়েল বসানো হয়ছে। বর্তমানে ওনার থাকার ঘরটি মেরামত করতে পারবেন ও আরো বলেন আমার ঘরে বিদ্যুৎ নেয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বৃত্তবানদের কাছে অনুরোধ করেন আমার থাকার ঘরে বিদ্যুতের ব্যাবস্থা করে দেওয়ার জন্য।  Wecare foundation থেকে ওনার নাতি জুনায়েদের মাদ্রাসায় পড়াশোনার খরচ বহন করবে।  আপনাদের সহযোগিতার টাকায় হাসিনার পরিবারে হাসি ফুটেছে। আপনারা আরও যদি কেউ সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসতে চান তাহলে হাসিনার বিকাশ নাম্বারে ০১৭১৪৯৬৭৪০৭ টাকা পাঠাতে পারেন অথবা এনায়েত ইসলামের নাম্বার-০১৭১৪৪৫৪৫৪৬ বিকাশ করতে পারেন। তাহলে অসহায় পরিবারের থাকার ঘরটিও মেরামত করে দিতে পারব।

শেয়ার করুন