• কোটালীপাড়া থানার এস আই শামীম কর্তৃক কৃষক নিখিলের মেরুদন্ড ভেংগে হত্যা করার বিচারের দাবিতে “আমরাই নিখিল’ ব্যানারে মৌলভীবাজার চৌমুহনায় প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
  • আজ রবিবার (১৪ জুন) সকাল ১১টায় ৬ দফা দাবিতে এই প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
  • প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ২ জুন কৃষক নিখিলের মেরুদন্ড ভেংগে হত্যা করার ঘটনার বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও প্রথমে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল না। বরং বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, প্রশাসন এবং কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এর উপস্থিতিতে এক সালিশ বৈঠকে ৫ লাখ টাকা এবং চাকরির আশ্বাস দেবার মাধ্যমে এ হত্যার মত অপরাধকে মীমাংসা করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর ৭ জুন এসআই শামীম এবং সোর্সের বিরুদ্ধে নিখিলের ভাই হত্যার মামলা দায়ের করলে গতকাল ৮ জুন এস আই শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।
  • বক্তারা বলেন, গতকাল বিকালেই আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, যশোরের ছাত্র ইমরানের দুইটি কিডনি পুলিশের পিটুনিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা সাধারণ নাগরিকরা দেশব্যাপী পুলিশের এই নির্যাতন এর বিরুদ্ধে সুতীব্র ঘৃণা জানাই। বিগত বছরগুলোতে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশি এই নীপিড়নের কোন সুস্পষ্ট এবং স্বাধীন তদন্ত আমরা দেখতে পাইনি কখনোই। বরং দেখেছি প্রচলিত পুলিশি তদন্ত ব্যবস্থায় কি করে এই ঘটনাগুলো থেকে আসামী পার পেয়ে যায়! তাই আমরা নাগরিকরা আজ প্রতিবাদ সমাবেশে নিখিল তালুকদার এর হত্যা এবং যশোরের কলেজছাত্র ইমরানের উপর অমানবিক পুলিশি নিপীড়নের বিচার চেয়ে ৬ দফা দাবি জানাচ্ছি।
  • ৬ দফা দাবির মধ্যে আছে :
  • ১। ধামাচাপা কিংবা আপোষরফা নয় , পূর্ণ তদন্তের মাধ্যমে নিখিল তালুকদারের হত্যার বিচার করতে হবে এবং দোষী পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
  • ২। নিখিল হত্যার দায় অস্বীকার বক্তব্য প্রদান এবং মিথ্যাচারের কারণে ওসি শেখ লুৎফর রহমান , গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
  • ৩। যশোরের কিশোর ইমরানকে নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে নির্যাতনের সংগে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
  • ৪। সংসদের আগামী অধিবেশনে পুলিশের অপরাধ তদন্তের আইন পরিবর্তনের বিল আনতে হবে। পুলিশ বা অন্য যেকোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগ উঠলে , স্বাধীন তদন্তের ব্যবস্থা থাকতে হবে; যেখানে ভিক্টিম পক্ষের প্রতিনিধিও থাকতে হবে।
  • ৫। প্রতিটি এনকাউন্টার- ক্রশ ফায়ারের স্বাধীন তদন্ত করতে হবে এবং রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে ।
  • ৬। প্রতিটি গুমের ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত করতে হবে এবং গুম হওয়া লোকদের অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে ।
শেয়ার করুন

Leave A Reply