• শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি.
    বদলি হলেও এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেননি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরিসহ দুই কর্মচারী। নবনিযুক্ত কর্মচারীকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে না দিয়ে তদবির করে স্বপদে বহাল রয়েছেন। যা সরকারি চাকরিবিধির পরিপন্থী।
    বদলিকৃত হলেন, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন নিরাপত্তা প্রহরী ও কর্মচারী সাখাওয়াত উল্লা। তারা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে তদবির করে বদলি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।
    নাম প্রকাশে শ্রীমঙ্গল এল এস ডি গোডাউন আশেপাশের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এল এস ডি গোডাউন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন তাদেরকে দিয়ে গুদামের চালের বস্তায় ওজনে কম দেওয়া আর বস্তা থেকে চাল চুরি করে বিক্রি ইত্যাদি অনিয়মের সাথে তারা জড়িত। যার ফলে তারা সেখান থেকে যেতে চাইছেন না।
    অনুসন্ধানে প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, মো.জহির উদ্দিন নিরাপত্তা প্রহরি শ্রীমঙ্গল এলএসডি গোডাউনে যোগদান করেছেন ১২/১১/০৯ ইং আর বদলি হয়েছেন ২৭/০৩/২০২০ মৌলভীবাজার যেগদান করেছে।কিন্তু এখন কাজ করতেছে শ্রীমঙ্গল তার পরিবর্তে শমশেরনগর এলএসডি গোডাউন থেকে ০৫/০৩/২০২০ ইং তারিখে এসেছে তাহার নাম জয়ন্তি রানী আচার্য সে শ্রীমঙ্গল আসতে চায়। নিরাপত্তা প্রহরি জহির উদ্দিন এবং গুদামে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জয়ন্তী রানীকে বাসা খালি করে দেয় না বিধায় জয়ন্তী রানী এখন পর্যন্ত শমশেরনগর থেকে তার কর্মস্থল শ্রীমঙ্গলে আসতে পারেনি।
    এদিকে আর একজন স্টাফ সাখাওয়াত উল্লা নিরাপত্তা প্রহরি শ্রীমঙ্গলে বদলি হয়ে আসছিল ১৭/০৩/২০১৭ ইং তারিখে এখন সে বদলি হয়েছে হবিগঞ্জের বাহুবল এলএসডিতে ০৩/০৩/২০২০ইং তারিখে পর্যন্ত এখনো সে যায়নি তার পরিবর্তে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থেকে এসেছে রেজাউল করিম সে শ্রীমঙ্গল যোগদান করেছে ২০.০৪.২০২০ইং তারিখে। তাহাকেও শাখাওয়াত উল্লা বাসা খালি করে দিচ্ছে না। এতে সবকিছুতে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের স্বার্থ জড়িত আছে । শ্রীমঙ্গল খাদ্যগুদামের অনেক কাজ জহির উদ্দিন এবং সাখাওয়াত উল্লাকে অবৈধ কার্যক্রম করায়। এজন্য তাদেরকে বদলি হওয়ার পরও কর্মস্থল থেকে বিদায় দেয়নি এবং যারা বদলী হয়ে এসেছে তাদেরকে বাসা খালি করে দেয় না।
    এদিকে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায়,বদলিকৃত নিরাপত্তা প্রহরি জহির উদ্দিন এখনো বহাল তবিয়তে আছেন।
    গুদামে এক লেবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গুদাম কর্মকতার যোগসাজশে নিরাপত্তা প্রহরি জহির গুদামে পাহারায় থাকাকালীন সময়ে বস্তা ফুটা চাল চুরি কাজে ব্যস্ত থাকেন। এবং সরকারী বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দির ইত্যাদি বরাদ্দকৃত চালে ওজনে কম দিয়ে তারা বাকি চাল আতœসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে।’
    ভুক্তভোগি শমশের নগর এলএসডি গোডাউনের স্টাফ জয়ন্তী রানী মুঠোফোনে বলেন, আমি শ্রীমঙ্গলের জয়েন করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো ধরনের ডিউটি করতে পারছিনা। আমি এখনো শমশেরনগর এলএসডি ডিউটি করতেছি। আমি আসতে চাই কিন্তু নিরাপত্তা প্রহরি জহির উদ্দিন বাসা ছাড়ছেন না ।
  • হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল এলএসডি এর ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজির সাব বলেন, ০১ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত এখনও অফিসে আসেননি। তার ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি, তার স্থানে বদলি হয়ে এসেছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর এলএসডি গোডাউন থেকে রেজাউল করিম সে শ্রীমঙ্গলে যোগদান করেছে ২০/০৪/২০২০ইং ।’
  • শ্রীমঙ্গল এলএসডি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন,করোনা ভাইরাসের কারণে তারা বাসা ছাড়তে পারছেন না। তারা নানা কারণে কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, খাদ্য গুদামে ওজনে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। তবে সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি। ’
শেয়ার করুন

Leave A Reply