মৌলভীবাজার জেলায় যে সব এলাকা রেড এবং ইয়েলো ও গ্রীন জোন হিসেবে চিহিৃত

  • সংবাদদাতা
  • করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বিবেচনায় বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হচ্ছে।
  • মৌলভীবাজারের সংক্রমণ হার বিবেচেনা করে দেখা গেছে অধিকাংশ এলাকাই পড়েছে ইয়েলো ও গ্রিনজোনে। কিছু অংশ পড়েছে রেড জোনে।
  • সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী-
  • মৌলভীবাজার সদর উপজেলা
  • ইয়েলো জোন : খলিলপুর, আখাইলকুড়া, কনকপুর ও গিয়াসনগর ইউনিয়ন এবং মৌলভীবাজার পৌরসভা পড়েছে ইয়েলো জোনে।
  • গ্রিন জোন : আপার কাগাবলা, মনুমুখ, কামালপুর, মোস্তফাপুর, নাজিরবাদ, চাঁদনীঘাট, একাটুনা ও আমতৈল ইউনিয়ন পড়েছে গ্রিন জোনে।
  • সদর উপজেলায় রেড জোন এখনও নাই।
  • new ads
  • রাজনগর উপজেলা
  • ইয়েলো জোন : মনসুরনগর, পাঁচগাঁও ও রাজনগর সদর ইউনিয়ন পড়েছে ইয়েলো জোনে।
  • গ্রিন জোন : ফতেহপুর, উত্তরবাগ, কামারচাক, টেংরা ও মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পড়েছে গ্রিন জোনে।
  • রাজনগরে উপজেলায় রেড জোন এখনও নাই।
  • কুলাউড়া উপজেলা
  • রেড জোন : পৌর এলাকার মাগুরা ও মনসুর এলাকা এবং বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর পড়েছে রেড জোনে।
  • ইয়েলো জোন : জয়চণ্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর (মনসুর এলাকা) ও হাজীপুর ইউনিয়ন পড়েছে ইয়েলো জোনে।
  • গ্রিন জোন : ভুকশিমইল, ভাটেরা, কুলাউড়া সদর, রাতগাঁও, টিলাগাঁও, কর্মধা, পৃথিমপাশা ও শরীফপুর ইউনিয়ন পড়েছে গ্রিন জোনে।
  • জুড়ী উপজেলা
  • ইয়েলো জোন : জায়ফরনগর ও গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পড়েছে ইয়েলো জোনে।
  • গ্রিন জোন : পশ্চিম জুড়ী, পূর্ব জুড়ী, সাগরনাল ও ফুলতলা ইউনিয়ন পড়েছে গ্রিন জোনে। জুড়ী উপজেলায় রেড জোন এখনও নাই।
  • কমলগঞ্জ উপজেলা
  • ইয়েলো জোন : আলীনগর, মাধবপুর ও কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এবং কজমলগঞ্জ পৌরসভা পড়েছে ইয়েলো জোনে।
  • গ্রিন জোন : রহিমপুর, পতনউষার, মুন্সীবাজার, শমসেরনগর, আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়ন পড়েছে গ্রিন জোনে।
  • কমলগঞ্জ উপজেলায় রেড জোন এখনও নাই।
  • শ্রীমঙ্গল উপজেলা
  • রেড জোন : পৌর এলাকার কালিঘাট রোড, শ্যামলী, ক্যাথলিক মিশন রোড, সদর ইউনিয়নের রুপসপুর, সবুজভাগ, মুসলিমবাগ, লালবাগ এবং বিরাইমপুর রেড জোনে পড়েছে।
  • ইয়েলো জোন : কালাপুর, আশিদ্রোন ও কালিঘাট ইউনিয়ন ইয়েলো জোনে পড়েছে।
  • গ্রিন জোন : মির্জাপুর, ভুনবীর, সিন্দুরখান, রাজঘাট ও সাতগাঁও ইউনিয়ন গ্রিন জোনে পড়েছে।
  • বড়লেখা উপজেলা
  • ইয়েলো জোন : নিজ বাহাদুরপুর,বড়লেখা সদর ও সুজানগর ইউনিয়ন রয়েছে ইয়েলো জোনে।
  • গ্রিন জোন : বর্ণি, তালিমপুর, দক্ষিণবাগ দক্ষিণ, দক্ষিণবাগ উত্তর, দাসের বাজার, উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়ন এবং বড়লেখা পৌরৈসভা পড়েছে গ্রিন জোনে।
  • বড়লেখা উপজেলায় রেড জোন এখনও নাই।
  • রেড জোনে মৌলভীবাজারের যেসব এলাকা
  • মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- শ্রীমঙ্গল পৌরসভা এবং সদর ইউনিয়নের কিছু অংশ রেড জোনে পড়েছে। এছাড়া কুলাউড়া পৌরসভা এবং পৌর শহর সংলগ্ন কিছু এলাকা রেড জোনে পড়েছে।
  • শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট রোড, শ্যামলী, ক্যাথলিক মিশন রোড, রুপসপুর, সবুজভাগ, মুসলিমবাগ, লালবাগ এবং বিরাইমপুর, কুলাউড়ার মাগুরা-মনসুর, নন্দনগর রেড জোনে পড়েছে।
  • জেলার বাকি সব এলাকা ইয়েলো এবং গ্রিনজোনে পড়েছে।
  • সির্ভিল সার্জন বলেন- সংক্রমেণর হার বিশ্লেষণ করে মৌলভীবাজারের প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়নের রেড, গ্রিন ও ইয়েলো জোনে ভাগ করা হয়েছে। সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রণালয়ে সেটা প্রেরণ করা হয়েছে। এটি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করা হবে।
  • কিভাবে জোন ভাগ হয়
  • সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো এলাকায় ১ লাখের মধ্যে ১০ জন করোনা আক্রান্ত হলে রেড জোন। ৩ থেকে ৯.৯ শতাংশ আক্রান্ত হলে ইয়েলো জোন। আর ০ থেকে ২.৯ শতাংশ আক্রান্ত হলে গ্রিন জোন।
  • জানা যায়, রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় পুরো লকডাউন করে দেওয়া হবে। এ জোনের কেউ বাইরে যেতে বা বাইরে থেকে কেউ এ জোনের ভেতরে যেতে পারবে না। এ জোনের দোকানপাট, বিপণিবিতান, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় সব বন্ধ থাকবে। এমনকি এ জোনে ঘরে বসে নামাজ আদায় করতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
  • এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন- সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা জোন ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
  • এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১ জন, সুস্থ হয়েছে ৬৯ জন, মারা গেছেন ৪ জন। তবে ৬ শতাধিক রিপোর্ট অপেক্ষমান আছে।
  • সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ বলেন, অন্য জেলার তুলনায় মৌলভীবাজারে আক্রান্তের হার এখনও কম। যে কারণে জেলার অধিকাংশ এলাকা পড়েছে ইয়েলো ও গ্রিন জোনে।
  • তিনি বলেন- করোন সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে সচেতন হতেই হবে। এর বিকল্প নাই। আগামী ২ মাস আমাদের জন্য বিপদ হতে পারে। সাবধনতাই পারে এ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে।
শেয়ার করুন