কমলগঞ্জ এ পাষণ্ড স্বামীর ছুঁড়িকাঘাতে আহত স্ত্রী এখন হাসপাতালে।

রহিমা আক্তার ডলিঃ

সফিনা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূ পাষণ্ড স্বামীর ছুঁড়িকাঘাতে আহত হয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন।ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ শে জুলাই শনিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে। তিন সন্তানের মা আহত সফিনা বেগমের বড় ভাই আজাদ মিয়া সাংবাদিকদের জানান,”২৫ বছর আগে একই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সাদেক মিয়ার কাছে তার ছোটবোন সফিনা কে বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর একদিনের জন্য ও শান্তি পায়নি সফিনা।সাদেক কারণে অকারণে সফিনাকে মারধর করতো।বাবার বাড়ির দারিদ্র্যতার কথা ভেবে সব অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করে,ও তিন সন্তানের মা হন।তিন বছর আগে সাদেক স্ত্রী সন্তানের সাথে ঝগড়া করে নিজের বসতবাড়ি ছেড়ে গ্রামের আকবর আলীর বাড়িতে বসবাস করেন।কোন উপায় না পেয়ে সফিনা গরু, ছাগল, হাঁস,মুরগি লালনপালন করে ও সন্তানদের ভরণপোষণ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এর উপর সাদেক প্রায়ই এসে সফিনার গরু,ছাগল, হাঁস, মুরগি ইচ্ছেমত ধরে নিয়ে মানুষজনের কাছে বিক্রি করে দেয়।শুধু তাই নয় গত তিন বছরে পরিবার ছেড়ে অন্যত্র থেকে ও সাদেক দুই বিঘা ধানি জমি বিক্রি করে দিয়েছে।ঘটনার দিন সকালে আরও আধ বিঘা জমি বন্ধক দিতে এলে তাতে সফিনা বাঁধা দেন এতে সাদেক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ও বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তার হাতের ছুঁড়ি দিয়ে সফিনাকে আঘাত করেন।এসময় সফিনার আর্তচিৎকারে তার বড় ছেলে এগিয়ে আসলে সফিনা প্রাণে বেঁচে যায়।মাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলে ও আহত হয়েছে।পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পাঠালে সফিনা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সফিনার পরিবার এর পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শেয়ার করুন