মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
শ্রীমঙ্গলে চলতি চা মৌসুমের অষ্টম আন্তর্জাতিক চায়ের নিলামে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) তৈরি গ্রীনটি প্রতি কেজি ১৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই- লটে ২০ কেজি করে মোট ৪০ কেজি গ্রীন টি বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়। আর সেই গ্রীন টি হাকিয়ে ক্রয় করেন গুপ্ত টি হাউজ ।
শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোডের স্বনামধন্য গুপ্ত টি হাউজের স্বত্বাধিকারী পীযুষ কান্তি দাশগুপ্ত বলেন, বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত নিলামে বিটিআরআই এর গ্রীন টির সর্বাধিক মূল্য কেজি প্রতি ১৬০০ টাকা নির্ধারিত হয়। পুরো লট কিনেছি। তার সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত হয়ে কেজি প্রতি দাম পড়বে ১৯০০ টাকা।
টি প্ল্যান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিপিটিএবি) ব্যবস্থাপনায় (২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার) দিনব্যাপী নিলামে তিনটি ব্রোকার্স হাউসসহ ৩০/৪০ জন বায়ার অংশ নেন।
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিলামে যত গ্রেডের চা বিক্রি হয়েছে তার সর্বোচ্চ গড় মূল্য কেজি প্রতি ১৯২ টাকা এবং সর্বনিম্ন কেজি প্রতি ১৬৫ টাকা। জুলেখা নগর চা বাগানের চা সর্বোচ্চ ২৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। নিলামে মোট ৫০ হাজার কেজি চা বিক্রি হয়।
এদিকে শ্রীমঙ্গল সাগরদিঘী রোডের শাওন টি হাউসের স্বত্বাধিকারী জামাল হোসেন ও হবিগঞ্জ রোডের আলমাস টি হাউসের স্বত্বাধিকারী আলমাস মিয়া জানান, গ্রীন টি দাম বেশি হলেও গ্রীন টি পানে চাহিদা রয়েছে। কারণ গ্রীন টি শরীরে নানা উপকারে আসে। এছাড়া গত একমাস ধরে চায়ের দাম বাড়ায় দেশে চা ব্যবসায় একটু ভাটা পড়েছে। বিশেষ করে আগে প্রতিদিন ১০০ ভাগ বিক্রি হতো, এখন দাম বাড়ার কারণে বর্তমানে ৮০ ভাগ চা বিক্রি হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলে নি¤েœ ২২০ টাকা দামের নিচে কোন চা পাতা না থাকায় চা বিক্রি কমে গেছে। তবে দেশে গ্রীন চাহিদা রয়েছে। শ্রীমঙ্গল খুচরা পাইকারী ছোট বড় ৬০- ৭০টি দোকান রয়েছে।