সামাজিক যেকোনও অসংগতি নিয়ে যখন সমস্বরে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদ শুরু হয় তখন বিষয়টা সমাজে নাড়া দেয়। যেরকমটা হয়েছে এইবার রমজানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত।
“শ্বশুরবাড়ীর ইফতারী” নামক কু-প্রথার বিরুদ্ধে এই বার সর্বমহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় এসেছে এবং আশা করছি এই প্রতিবাদ চলমান থাকলে অচিরেই মারাত্মক এই ব্যাধিটি সমাজ থেকে বিতাড়িত হবে ইন শা আল্লাহ্।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, প্রতিবাদ আমরা অনেকেই করছি, আবার সামাজিক দ্বায়বদ্ধতার কারনে এই কু-প্রথার অত্যাচার নীরবে হজমও করেছি অনেকে। কেউ কেউ আবার মনও খারাপ করেছি একারনে যে, আমরা কি তাহলে বোন ভাগ্নিকে কিছু দিতে পারবনা? এই বিষয়টি নিয়ে আমরা যারা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদ করছি তাদের একটা বিষয় পরিস্কার করা উচিৎ বলে মনে করছি, যেটা হচ্ছে বোন, ভাগ্নি, ভাতিজি কিংবা মেয়েকে সানন্দে সামান্য কোন কিছু দেওয়াকে আমরা কোন অবস্থাতেই “কু-প্রথা” বলছিনা বরং এটি আত্মীয়তার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। কু-প্রথা আমরা সেটাকেই বলছি যেটা আমরা শ্বশুর বাড়ী থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে চেয়ে নিচ্ছি কিংবা তাদেরকে দিতে বাধ্য করছি।
সহজ কথায় যদি বলি আমরা দেওয়াটাকে নিরুৎসাহিত করছিনা, আমরা নেওয়াটাকেই নিরুৎসাহিত করছি। নেওয়াটা যদি বন্ধ হয় একসময় দেখবেন অপারগতার দেওয়াটাও বন্ধ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ছেলে পক্ষকে সামাজিক সকল সংকোচ এড়িয়ে শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলে একটু বেশী সময় লাগলেও একটা সময় ঠিকই এই কু-প্রথাটির বিলুপ্তি হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ্ যেনো সবাইকে বুঝার তৌফিক দেন, আমীন।