করোনাকালে অসহায়, দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সিলেট নগরীর হযরত শাহজালাল দরগাহ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও হযরত শাহজালাল যুব কল্যাণ পরিষদ সিলেট বিভাগ’র সভাপতি সৈয়দ রাজন আহমেদ। তিনি আম্বরখানার রাজারগলি এলাকার বাসিন্দা।
করোনাকাল থেকে অদ্যাবধি নগরীর অসহায় বাসিন্দাদের মাঝে রাজনের ও দেশ-প্রবাসের সকলের সহযোগীতায় ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে আসছেন সৈয়দ রাজন। একজন সমাজ সেবক হিসেবে এলাকায় তিনি বিশেষ পরিচিতি লাভ করছেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি অসহায় সহজ সরল ও দুঃখী মানুষের পাশে থেকে মানব সেবায় অভ্যস্ত ছিলেন। ‘জীবে দয়া করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর’ বাংলা ভাষার এই প্রবাদটিকে সামনে রেখে ব্যবসায়ী সৈয়দ রাজন আহমদের পথচলার সূচনা। অসহায় দরিদ্র মানুষের সহায়ক, হযরত শাহজালাল মাজারের অসহায় ছিন্নমুলদের আশ্রয়দাতা তিনি। তার মতে, ‘আমি সারাজীবন সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য সমাজ সেবা করে যাবো।
এলাকার সচেতন মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, চুরি, ডাকাতি, মাদক, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ইভটিজিং রোধে সব সময় তিনি সোচ্চার।’
করোনাকালে নগরীর এই অসহায় মানুষ গুলোর পাশের ছিলেন তিনি এখনো আছেন। প্রতিদিন বাসায় বাসায় গিয়ে মানুষের খোঁজ নিতেন এবং মাজারে অবস্থানরত ছিন্নমুল মানুষদের খাবার দিতেন। রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উন্নয়নের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
সৈয়দ রাজন আহমেদ বলেন, গরিব-অসহায় মানুষকে দান-সহযোগিতা করা অনেক বড় সাওয়াবের কাজ। গরিব-অসহায় এবং কর্মক্ষম-ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো শুধু মানবিকতার পরিচয়ই নয়, অসহায়দের দান-সহযোগিতায় রয়েছে এমন সওয়াব, যার মাধ্যমে আল্লাহর দয়া ও করুণা বর্ষিত হয়। আমার সমাজ সেবার প্রধান উৎসই হল মানুষকে সাহায্য করা। মিডিয়াতে প্রকাশ করা না। আমি নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমার ডাকে সাড়া দিয়ে সমাজের বিভিন্ন বিত্তবান লোকজনও তাদের সামর্থ অনুযায়ী মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এতে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।