- শ্রীমঙ্গল(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জীবনের নিরাপত্তা ও মিথ্যা মামলা পুলিশের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভূক্তভোগি।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লারের হল রুমে জয়নাল আবেদন রাব্বিল(২৯)নামে ভূক্তভোগি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে এমন অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বড় ভাই আব্দুল তোয়াহিদের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। আমার বড় ভাই আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ আমার নামে হয়রানি মূলক প্রতারনা মামলা দিয়া আমাকে জেল খাটায়। আমার ভাইয়ের প্রভাবে আমি বাড়িতে থাকতে পারতেছি না। আমি মিথ্যা মামলা হইতে জামিনে মুক্তিলাভ করে বাড়িতে আসার পর আমার ভাই আব্দুল তোয়াহিদ আমাকে আরো বড় ধরণের মামলা দিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করিতেছে। আমার ভাই আমার জায়গা ভাগ ভাটোয়ারা না করিয়া জোরপূর্বক উঠানের মধ্যে পূর্বে জোরপূর্বক টিনসেট ঘর তৈরি করিয়াছে। বর্তমানে বিবাদী আমার খালি ভিটার উপর জোরপূর্বক আরেকটি পাকা ঘর তৈরি করিতেছে। আমি বাধা প্রদান করিলে গ্রামের আমার বড় ভাই শ্রীমঙ্গল থানা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ এসআই মোসলেহ উদ্দিন আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমাদের বাড়ির সরেজমিন বাড়ি ভিটে দেখে আসে। সন্ধ্যার পর থানায় হাজির হওয়ার জন্য বলেন। আমরা দুই পক্ষ সহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়-স্বজন থানায় হাজির হই। তখন এসআই মোসলেহ উদ্দিন ও এসআই সুব্রত এর নেতৃত্বে সালিশি বিচার শুরু হয়। সালিশে রায় হয় আমার কাছে পাওনা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বর্তমান মাসের ২৩ তারিখ দেয়ার জন্যে। এবং আমাদের বড় ভাই আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ বাড়ির খালি ভিটার পিছনের অংশ নিবেন। এবং বাড়ির ভিটার সামনের অংশ আমি জয়নার আবেদিন রাব্বিল ৪নং ভাই নিবেন বলে রায় হয়। সালিশ বিচারে এ রায় দেন এসআই সুব্রত। আমি এ রায় মানিয়া বাড়িতে চলে যাই। কয়েকদিন পর আমার বড় ভাই বাড়ির ভিটার সামনের অংশে জোরপূর্বক ঘর তৈরির জন্যে আংশিক কাজ করায় আমি ফোনে ভিডিও ধারণ করে থানায় দেখাতে আসলে আসা মাত্র এসআই আনোয়ার আমায় ডিউটি অফিসার এর রুমে বসতে বলেন, তারপর আমি অনেকক্ষন অপেক্ষা করে আমার পেটে খিদা লাগলে আমি থানার ডিউটি অফিসারকে বলে নাস্তা করিতে বাহিরে যাই। তখন আমি থানার সামনে মৌলভীবাজার রোডস্থ ইসলামী ব্যাংকের সামনে আসলে পিছন থেকে এসআই আনোয়ার ও ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য আমায় মারধর করে থানায় নিয়ে যায় এবং লকআপ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমাকে লকআপ এর কথা জানাজানি হরে আমার আত্মীয় স্বজন থানা আসেন এবং এসআই আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করলে এসআই আনোয়ার সুমনকে বলেন ১৫ শ” টাকা দিলে আমাকে ছেড়ে দিব। তখন সুমন ও সঞ্চিত আচার্য আমাকে এসে বিষয় জানালে আমি বলে টাকা দিয়ে দাও। টাকা নিয়ে সুমন ও সঞ্চতি আচার্য্য এস আই আনোয়ারের নিকট যাওয়ার পর এসআই আনোয়ার বলেন এখন ছাড়া যাবে না মামলা রেকর্ড হয়ে গেছে। সঞ্চতি আচার্য তখন বলেন স্যার এখন কি করা যায়। তখন এসআই আনোয়ার বলে তোমরা ৫ হাজার টাকা দিলে আমি মামলার ধারা হালকা করে দিব তাহলে সে তারাতাড়ি বের হয়ে আসতে পারবে। তখন আমাদের নিকট টাকা না থাকায় আমরা ১ হাজার টাকা এসআই আনোয়ারকে দিতে চাইলে তিনি তা না নিয়ে বলেন আমাকে ৫ হাজার টাকাই দিতে হবে। তখন সঞ্চিত বলে আমার নিকট আর টাকা নেই। তখন এসআই আনোয়ার বলে তাহলে আমার সামনে থেকে বেড়িয়ে যান। এবং একথা বলে আনোয়ার সাহেব থানা থেকে বের হয়ে যান। এবং পরবর্তীতে ফোনে এসআই আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি আর যোগাযোগ রাখেন নি।
মুঠোফোনে আব্দুল তোয়াহিদ আকাশের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই নিয়ে একটি সালিশ হয়ে ছিল, আমার ভাই আমার ঘরে পাশে একটি রুম দিতে বলিয়া আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার নেয়। ২৭দিন পরে অস্বীকার করে। আমাকে রুম দিত নায় বলিয়া। এর পর আমি থানায় আবেদন করি, তখন শ্রীমঙ্গল থানার দূর্জয় বাবু সরেজমিন তদন্তে আসেন এবং এনিয়ে গ্রাম্য ভাবে সালিশ হয় সালিশে ষ্ট্যাম্পের লিখিত হয় এবং গত বছরের ডিসেম্বরের ১২ তারিখ আমার টাকা দেয়ার কথা হয় ১২ তারিখ টাকা না দিতে পারলে জায়গা দিবে। কিন্তু জায়গা দিবে না বলে অস্বীকার করে। পরে আমি শ্রীমঙ্গল থানা মামলা করি।
শ্রীমঙ্গল থানা উপ-পরিদর্শক আনেয়ারুল ইসলাম পাঠান টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সে মামলার আসামি তার ভাই তার বিরোদ্ধে মামলা করেছে আপন ভাই তারার মধ্যে বেজাল। আপনি একটু আকাশ ভাইয়ের সাথে কথা বলেন।
এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ শামীনুর রশিদ তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, আমি বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি বাহিরে আছি থানায় এসে জানবো।
শ্রীমঙ্গলে জীবনের নিরাপত্তা ও মিথ্যা মামলা পুলিশের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন
শেয়ার করুন