গাজী জাবের আহমদ, স্যোশাল এক্টিভিস্টঃ
রহমত মাগফেরাত এবং নাজাতের বার্তা বহনকারী রমজানুল মোবারাক অত্যাসন্ন। আল্লাহর নাজ, নিয়ামতে ভরপুর থাকে পুরো এই মাস। গুনাহ সমুহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার সবচেয়ে উত্তম মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। কিন্তু আফসোসের বিষয় হচ্ছে, আবহমান কাল থেকে পবিত্র এই মাসকে আমরা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কুলশিত করে রেখেছি আমাদের কিছু কুকর্ম দিয়ে।
প্রথমত রমজানের শুরুতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ক্রমবর্ধমান রেখে নাভিশ্বাস করে তুলা হয় নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির দিশেহারা হয়ে যায় নিম্ন আয়ের মানুষ। দ্বিতীয়ত এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যে বিষয় সেটি হচ্ছে বিবাহিত মেয়েদের বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে ইফতারী প্রেরণ যেটাকে আমরা প্রচলিত ভাষায় শ্বশুর বাড়ির ইফতারি বলে থাকি। ভয়াবহ এই কুপ্রথাটি আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এমনভাবে ঢুকে পড়েছে যে আমরা কোন পক্ষই (ছেলের পক্ষ কিংবা মেয়ের পক্ষ) এর থেকে বের হয়ে আসতে পারছিনা।
আমরা আল্লাহর রহমত চাই, নাজাত চাই, মাগফেরাত চাই, এতে কোন সন্ধেহ নেই। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধে আমরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে কোন ভূমিকাই রাখছিনা। মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে কৌশলে কিংবা বাধ্য করে ইফতার গ্রহণ করবোনা এই ঘোষণাটি আমরা দিতে পারিছিনা।
আমরা সবাই রহমতের দাবিদার। রমজান আসলেই আমরা সাধ্যমতো দান খয়রাত শুরু করে দেই কেননা আমরা রমজানের বরকত হতে বঞ্চিত হতে চাইনা। রমজান আসলে আমরা সবাই তাহাজ্জুদ গুজারি হয়ে যাই কেননা আমরা মাগফেরাত এবং নাজাতেরও দাবীদার।
আদৌকি আমরা নাজাত, মাগফেরাত এবং বরকতের পথে হাঠছি। সমাজের ব্যবসায়ীবৃন্দ, উচ্চবিত্ত, এবং বিবাহিত পুত্রের বাবারা যতদিন পর্যন্ত একজোট হয়ে রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যাপারে এবং শ্বশুর বাড়ির ইফতারি নামক কুপ্রথার বিরুদ্ধে সরব না হবে,এবং যতদিন পর্যন্ত আমাদের নিজেরা অন্য রোজাদারের কষ্টের কারন হওয়া থেকে বিরত থাকবো এই ঘোষণা না দিব ততদিন পর্যন্ত আমাদের তাকদীরে রহমত মাগফেরাত এবং নাজাত কতটা আছে এ ব্যাপারে আমি সন্ধিহান।
আসেন আওয়াজ উঠাই রমজানের দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বিরুদ্ধে এবং শ্বশুর বাড়ির ইফতারি নামক ভয়াবহ কুপ্রথার বিরুদ্ধে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দিন – আমীন।