গাজী জাবের আহমেদঃ
অনেক দিনের আকাঙ্খা ছিলো গবেষণা এবং গবেষক নিয়ে কিছু লিখবো, আর সেই আকাঙ্খা নিবারণের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাই হচ্ছে আজকের এই লেখা। আশা করবো ভূল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
গবেষণা হচ্ছে কোনো সমস্যার বিপরিতে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার জন্য পরিকল্পিত এবং সংঘবদ্ধ উপায়ে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি প্রয়োগে ধারবাহিকভাবে উপাত্ত সংগ্রহ করে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ করার বুদ্ধিবৃত্তিক একটি প্রক্রিয়া।
আরেকটু সহজ করে বললে তত্ত্ব উপাত্ত এবং যুক্তির মাধ্যমে কোনো সত্যকে খোঁজার নামই হলো গবেষণা।
উদ্দেশ্য, গভীরতা, বিশ্লেষণ, সময়, উপাত্ত ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে গবেষণা হতে পারে বিভিন্ন রকমের যা স্বল্প পরিসরে আলোচনা সম্ভব নয়।ইন শা আল্লাহ পরবর্তীতে সময় সুযোগমত গবেষণার বিস্তারিত সংজ্ঞা আলোকপাত করার চেষ্টা করবো।
এবারে আমরা খুব সহজেই বলতে পারি গবেষণা প্রক্রিয়ার সাথে যিনি জড়িত তিনিই গবেষক।
বিখ্যাত গবেষক ড. রমিত আজাদের মতে
উচ্চজ্ঞানসম্পন্ন ও উচ্চমানসম্পন্ন ব্যাক্তি নতুন জ্ঞান তৈরী, নতুন ধারণা তৈরী, নতুন নতুন উৎপাদন প্রক্রিয়া, উপায় ও পদ্ধতি (systems) সৃষ্টি এবং নতুন কোন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন, তিনিই একজন গবেষক।
ড. রমিত আজাদ মনে করেন যেকোনো ব্যক্তিকে গবেষক বলা যাবেনা, এমনকি তিনি লেখক কিংবা শিক্ষক হলেও না। তাঁর মতে যেই ব্যাক্তির গবেষণাপত্র কোন স্বীকৃত জার্ণালে প্রকাশিত হয়নাই তাকে গবেষক বলা যাবে না।
আলোচনা থেকে যেটা প্রতিয়মান সেটা হচ্ছে গবেষক এবং গবেষণা অতি উচ্চ মার্গের দুটি শব্দ যা ইচ্ছে করলেই পদ পদবীর মতো নিজের নামের সাথে যে কেউ জুড়ে দিতে পারেনা।
আমার লেখার উদ্দেশ্য অবশ্যই কাউকে ছোট করা নয়,তবে নিঃসন্দেহে যারা ভূলের মধ্যে আছে তাদের সংশোধন জরুরী।