এম.মুসলিম চৌধুরী মৌলভীবাজারের মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ১১ দশমিক ৩৪ মিটার থেকে নেমে ১১ দশমিক ২০ এ নেমে এসেছে। এর আগে বিপদসীমার ৪ সে.মি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও এখন বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী আক্তারুজ্জমান মনু নদের পানি কমছে এবং বিপৎসীমার নীচে অবস্থান করছে বলে জানান । তিনি জানান, সকাল ৯টার রিডিং অনুযায়ী চাঁদনীঘাট ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টা রিডিং অনুযায়ী ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শহরের চাঁদনীঘাট ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিলো। দ্রæত বাড়তে থাকে পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাত ৯টার রিডিং অনুযায়ী বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
এদিকে মনু নদীর পারে উদ্বিগ্ন রাত কাটান পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী আক্তারুজ্জমানসহ পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্চারীরা। সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সার্বিক দিকনির্দেশনা দেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। রাতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ উপস্থিত হন মনু নদীর পারে জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। ছিলেন জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। সেখানে রাতেই খবর আসে উজানে ভারতের ত্রিপুরা-কৈলাশহর এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে না। যে তিনটি খাল দিয়ে মনু নদীতে পানি আসে সে তিনটি খালে পানি নেই।
অপরদিকে কুশিয়ারা নদী শেরপুর ব্রিজে ৮.৩৩ প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপদসীমার ২২ সে.মি নিচে রয়েছে। গত ১ দিনে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৫ মিলিমিটার।
এদিকে কমলগঞ্জের ধলাইসহ মৌলোভীবাজারের আরও নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার (২০ জুন) ধলাইর নদীর পানি বিপৎসীমা ১৯ দশমিক ৩৫। সন্ধ্যায় ছয়টায় এই পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয় ১৮ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার লেভেলে। অর্থাৎ ৭৯ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর অবস্থা দেখতে শহরের মনু নদীর ব্রিজ ও আশপাশের এলাকায় উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছেন। নদীর তীর রক্ষায় কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।