এম.মুসলিম চৌধুরী
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন উপলক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার অনুষ্টিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় শ্রীমঙ্গল মৎস্য অফিস কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গলে চাহিদার চেয়ে ১ হাজার ৭শত ৫ মেট্রিক টন মাছ অতিরিক্ত উদপাদন হয় বলে সাংবাদিকদের তথ্য দেন।
শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মৎস্য অফিসের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন এর সভাপতিত্বে মৎস্য সাপ্তহের কর্মসুচি উপস্থাপন করেন শ্রীমঙ্গল সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফারাজুল কবির।
মৎস্য কর্মকর্তা মো: ফারাজুল কবির জানান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা মাছ নিয়ে তাদের ‘‘ দ্যা স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার২০২০’’ শিরোনামে বৈশি^ক প্রতিবেদনে বলেছে স্বাদুপনির উন্মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশে^ তৃতীয়। বর্তমান বিশে^ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ৪র্থ এবং ইলিশ উদপাদনে বিশে^ রোল মডেল ও ১ম স্থান অর্জন করে। পাশাপাশি বিশে^ সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া ও ফিনফিস উৎপাদনে যথাক্রমে ৮ম ও ১২ তম ও তেলাপিয়া উৎপদনে বিশ্¦ে ৪র্থ এবং এশিয়ার মধ্যে ৩য় স্থান অর্জন করে। শ্রীমঙ্গলে আর্থিক বছরে উন্মুক্ত ও বদ্ব জলাশয়ে ১০৮০ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। হাওড়ে রুই জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাওড়ের পাশে ৫টি পুকুর ও ৫টি বিল নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ২টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শীনি পুকুর স্থাপনসহ চাষীদের মাঝে মৎস্য চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সরকারের নানাবিধ উন্নয়ন কর্মসুচীর বাস্তবায়নের ফলে শ্রীমঙ্গলে চাহিদার চেয়ে ১ হাজার ৭শত ৫ মেট্রিক টন মাছ অতিরিক্ত উদপাদন হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলে বাৎষরিক মাছে চাহিদা ৯ হাজার ২শ ৯৬ মেট্রিক টন।
তিনি জানান, অবৈধ ও পোনা মাছ আহরণকারীদের বিরুদ্ধে তারা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ্য জাল আটকসহ বিভিন্ন ধরণে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি এব্যাপারে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো: ইউছুপ হোসাইন খানসহ স্থানীয় গণমাধ্যককর্মীরা।