শ্রীমঙ্গলে বীজ উৎপাদন প্রদর্শনীর বীজতলাসহ ৪৫ বিঘা জমির বীজতলা জ্বালিয়ে দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা

এম.মুসলিম চৌধুরী:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রদর্শনীর ১৫ বিঘা বিজতলা সহ কৃষকের ৩০ বিঘা জমির বীজতলা আগাছানাশক ঔষুধ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা।

মৌলভীবাজার উপজেলার আশীদ্রোন ইউনিয়নের টিকরিয়া ফটকী গ্রামে কৃষক এম এ মালেক রুবেল এর বীজতলায় এ ঘটনা ঘটে।
বীজ নষ্ট হওয়ায়, চলতি মৌসুমে ৪৫বিঘা আমন ধানের চারা রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এম এ মালেক রুবেল লিখিত অভিযোগে ২জনের নাম উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলার আশীদ্রোন ইউ‘পি চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের দেওয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, কৃষক এম এ মালেক রুবেল ৪৫ শতক বীজতলায় ব্রি-৮০, জাতের ৫০ কেজি, ব্রি ৪৯, জাতের ৫০কেজি, বিরুইন জাতের ১ কেজি, চিনিগুড়া জাতের ১০ কেজি, স্বর্ণা-৫ জাতের ৩ কেজি বীজ বপন করে।
বীজ গজানোর পর থেকেই এই এলাকার আনকার মিয়া, মো.আনোয়ার মিয়ার ২০-৩০টি ছাগল দিয়ে প্রায়ই ক্ষতি করে আসছিল। গত ২৫ জুলাই ৩টি ছাগল ধরে খোয়াড়ে দেন। এরই জের ধরে রাতের আধারে আগাছানাশক ঔষুধ প্রয়োগ করে। ফলে ধানের চারা লাল হয়ে মরে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী কৃষক এম এ মালেক রুবেল বলেন, ১৫০ কেজি ধানের বীজতলা দিয়ে চলতি মৌমুমে ৪৫ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। রোপণ কাজ শেষে অবশিষ্ট চারা বিক্রি করার কথা ছিল।
কিন্তু বীজ গজানোর পর থেকেই আনকার মিয়া, মো.আনোয়ার মিয়ার ছাগল দিয়ে প্রায়ই ক্ষতি করে আসছিল। তাদের ছাগল খোয়াড়ে দেওয়ার কারণে আমার বীজতলায় ঔষুধ প্রয়োগ করে। ঔষুধের প্রভাবে ধানের চারা লাল হয়ে মরে গেছে।
কৃষক রুবেল বলেন, আমি কৃষি অফিসে গিয়ে ছিলাম, কৃষি কর্মকর্তা পরিক্ষা করে জানিয়েছেন চারা রোপন করা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আনকার মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, কে বা কারা কীটনাশক দিয়ে ধানের চারা মারছে। রুবেল আমাদের দুই ভাইকে দায়ী করছে। যারাই ধানের চারা মারছে। তারা কি ভাত খায় না? কেন এই ক্ষতি করলো, যারা এই কাজ করেছে তাদের খোঁজে বের করা হোক।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, বিষয়টি আমরা জানি, কিন্তু প্রশাসন ছাড়া আমরা কিছু করতে পারবো না। প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত ২৭ জুলাই নির্বাচন, ২৮ জুলাই আমাদের মিটিং থাকায় জ¦লে যাওয়া বীজতলা পরিদর্শন করতে পারিনি। কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, কৃষক মালেক আমাদের একজন কর্মী। সেখানে ১৫বিঘা জমিতে বীজ উৎপাদন প্রর্দশনী ছিল।

 

শেয়ার করুন