আকাশ আহমদ:
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে একই পরিবারে দু’জন ভোটার, নামে অসংখ্য ভুলসহ নানাভাবে ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকার কারণে তফশীল স্থগিত করে তালিকা সংশোধনের জন্য ইউএনও’র কাছে আবেদন জানান এক অভিভাবক সদস্য। এরপরও তালিকা সংশোধন না করে সোমবার বিতর্কিত ও ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকায়ই হচ্ছে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন। জানা যায়, গত ৩১ জুলাই কমলগঞ্জ ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ জানান বিদ্যালয়ের অভিভাবক মোহাম্মদ নূরুল মোহাইমীন। ইউএনও ওই অভিযোগ তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন। তবে অভিযোগ বহাল রেখেই একতরফা তদন্ত করে ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকায়ই সোমবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে তড়িঘড়ি নির্বাচন পরিচালনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের অভিভাবক মোহাম্মদ নূরুল মোহাইমীন বলেন, আমার পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখে ভুল এবং অসম্পূর্ণ নাম দিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া একই পরিবারে দু’জন ভোটার, নামে ভুলসহ ত্রুটিপূর্ণ তালিকা সংশোধনের জন্য তফশীল স্থগিত করে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ইউএনও’র কাছে আবেদন করি। তারপর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে না জানিয়ে একতরফাভাবে তদন্ত করেই তড়িঘড়ি নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারী পতনঊষার স্কুল এন্ড কলেজের গভার্নিং বডির অভিভাবক সদস্য নির্বাচনেও ঐ শিক্ষা কর্মকর্তা প্রিসাইডিং অফিসারের ত্রুটির কারণে নির্বাচিত চারজন সদস্য কমিটিতে স্থান পাননি। পরে আবারও প্রতিষ্ঠানটিতে এডহক কমিটি গঠন করা হয়।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসার শামছুন্নাহার পারভীন বলেন, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে অভিযোগপত্র পেয়ে আমি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। সময় স্বল্পতার কারণে অভিযোগকারীকে কোন নোটিশ না দিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেই তদন্ত করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দীন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।