মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় থাকেন নেইমার জুনিয়র। মাঠেও যে কাণ্ড করেন, সেটাও বা কম কী! কখনো প্রতিপক্ষের হালকা টোকা খেলেই মাটিয়ে গড়াগড়ি করেন, কখনো গোল উদ্যাপন করতে গিয়ে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গিতে বিতর্ক উসকে দেন। বহুবার দর্শকদের দুয়ো শুনলেই তাতে যেন কিছুই আসে-যায় না তাঁর।
অথচ বেপরোয়া জীবনটাকে একটুখানি বশে আনতে পারলেই নেইমার হতে পারতেন সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন। যদিও সেই সুযোগ এখনো আছে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। কাতার বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিয়ে দেশকে ‘হেক্সা’ এনে দিতে পারলে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেবেন তিনি।
সেটা করতে হলে নেইমারকে আগে সুশৃঙ্খল জীবনে ফেরা উচিত বলে মনে করেন রোনালদো নাজারিও। ‘দ্য ফেনোমেনন’ খ্যাত মহাতারকা মনে করেন, তাঁর উত্তরসূরির মধ্যে প্রতিভা কিংবা সামর্থ্যের ঘাটতি নেই। শুধু অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ ও ‘পাগলামি’ বন্ধ করলেই ব্রাজিল সমর্থকদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন তিনি।
ব্রাজিলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা রোনালদো সাও পাওলোতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নেইমারকে নিয়ে বলেছেন, ‘ওর প্রতি ব্রাজিলিয়ানদের মনোভাব পরিষ্কার। সবাই চায় ওর হাত ধরে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতুক। অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ বন্ধ করে ওকে খেলায় মনোযোগী হতে হবে। সামর্থ্যের প্রমাণ মাঠেই দিতে হবে। মাঠে শান্ত থাকলে পারলে ওর জন্যই সহায়ক হবে।’
২০০২ সালে নিজেদের পঞ্চম ও সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত সেই আসরে সর্বোচ্চ ৮ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন রোনালদো।
সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারের মতে, কাতারেই ঘুচবে ব্রাজিলের দুই দশকের আক্ষেপ, ‘শুধু বিশ্বকাপ নয়; যেকোনো প্রতিযোগিতায় ব্রাজিল ফেবারিট। কারণ, এই দলে প্রতিভার অভাব নেই। যদি নেইমার শতভাগ ফিট থাকে ও পুরোদমে খেলায় মনোযোগী হতে পারে, তাহলে আমাদের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।