এম.মুসলিম চৌধুরী:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে উপজেলা সদরে যাবার পথে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কমলগঞ্জ-মুন্সীবাজার সড়কের উবাহাটা এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খান গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিস্ট হাসপাতালে ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিকসহ মৌলভীবাজার জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দায়ীদের খোঁজে বের করে দ্রæত গ্রেফতারের দাবী জানান। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের আটক করা যায়নি।
কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কমলগঞ্জ-মুন্সীবাজার সড়কের উবাহাটা এলাকায় ১টি মোটরসাইকেলযোগে ৩ জন সন্ত্রাসী দৈনিক খবর পত্র পত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খান এর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় কিছু বোঝার আগেই সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানের হাত, পা, মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এ সময় আব্দুল বাছিতের সাথে থাকা আরেক সহকর্মী আমিনুল ইসলাম হিমেল চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রæত সাংবাদিক বাছিতকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তার অবস্থা আশংকাজনক। জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা জানান।
পূর্ব শত্রæতার জের ধরেই এই নাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে বলে সচেতন মহল ধারণা করছেন। অতিসম্প্রতি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে রহিমপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ওয়াতির আহমদ বুলবুল এর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সাংবাদিক বাছিতের চাচার উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে ইউপি সদস্য ওয়াতির আহমদ বুলবুলকে কারাগারে প্রেরণ করেন মৌলভীবাজার আদালত। তিনি এখনো জেলহাজতে আছেন।
এদিকে সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সী, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক।
সাংবাদিক আব্দুল বাছিত খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব, কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতি, রিপোর্টার্স ইউনিনিটি, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, কমলগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদতর্শন করেন। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের খোঁজে বের করে আটক করার চেষ্টা চলছে।
কমলগঞ্জে দুবৃত্তের উপর্যুপরি হামলায় সাংবাদিক আব্দুল বাছিত গুরুতর আহত
শেয়ার করুন