শ্রীমঙ্গলের কুখ্যাত পাখিশিকারি খাজা মিয়াকে পাখিসহ আটক করেছে বন বিভাগ

প্রতিবেদন,এম.মুসলিম চৌধুরী::
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কুখ্যাত পাখিশিকারি খাজা মিয়াকে পাখিসহ আটক করেছে বনবিভাগ। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে তার শিকার করা পাখিগুলোকে অবমুক্ত করে জব্দকৃত পাখিশিকারের জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেটি রোডের পশ্চিম ভাড়াউড়া এলাকার থেকে বস্তায় পাখি নিয়ে বাড়ি যাবার পথে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্যরা তাকে আটক করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদার, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. মুনিরুজ্জামান সহ বনবিভাগ এবং র‌্যাবের বিভিন্ন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জীববৈচিত্র্য রক্ষা বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মিতা ফাউন্ডেশন’ এর স্বেচ্ছাসেবকরা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পাখিশিকারে নিয়োজিত থাকা খাজা মিয়া প্রতিদিনের মতো হাইল হাওর থেকে পাখিশিকার করে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাকে আটক করা হয়। আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে এই অবৈধ কাজ আর কখনো না করার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ভোরে হাইল হাওর থেকে শিকার করে খাজা মিয়ার ব্যাগে ভরা ৫টি পাখির মাঝে ৪টিকে অবমুক্ত করা হয়। এ পাখিগুলো হলো- পাতি শরালি, কোড়া, হট-টিটি। পাতি-চ্যাগা নামক পাখিটি বস্তার ভেতর মারা যাওয়ায় তাকে মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই আমরা শ্রীমঙ্গল জেটি রোডের হাইল হাওর এলাকায় অবস্থান করছিলাম। পাখিশিকারি খাজা মিয়া চালের ব্যাগে ভরে কাঁধে করে শিকার করা পাখি নিয়ে বাড়ি যাবার পথে তার ব্যাগটি দেখতে চাইলে তিনি ব্যাগে দেখাতে অবপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে তাকে আটক করা হয়।

 

শেয়ার করুন