শ্রীমঙ্গলে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের উপর দিয়ে চলাচল করছেন গ্রামবাসী \ নতুন ব্রীজ নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন


প্রতিবেদন,এম.মুসলিম চৌধুরী:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ভুনবীর ইউনিয়নের আলীয়াছড়ার উপর নির্মিত সরকারবাজার থেকে বাদে আলীশা, রাজপাড়া ও হাইল হাওরে চলাচলের ব্রীজটি যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। এই অবস্থায়ই মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।
ব্রীজটি দ্রæত নির্মানের দাবীতে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল সরকার বাজারে মানববন্ধন করেছেন কয়েক গ্রামের মানুষ।
এ সময় স্থানীয় যুুবক কাওছার আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্যদেন ভূনবীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, ইউপি সদস্য জসীম আহমদ কামালসহ শতাধিক মানুষ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিগত ১০ বছর আগে ব্রীজটির মধ্যস্থানে দেবে যেতে শুরু হয়। বর্তমানে মধ্যাংশ দেবে গিয়ে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এই অবস্থায়ও ওই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ছোট ছোট যান নিয়ে চলাচল করছেন। এতে যেকোন সময় দূর্ঘটনার ভয় রয়েছে। তারা দ্রæত এটি অপসারণ করে নতুন ব্রীজ নির্মানের দাবী জানান।
স্থানীয় সমাজসেবী কাওছার আহমদ জানান, এই ব্রীজ এর উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এইটি বাদে আলীশা গ্রামে প্রবেশের একমাত্র রাস্তা। এই রাস্তার মূখেই আলীয়াছড়ার উপর নির্মিত এই ব্রীজটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান, এই ব্রীজের উপর দিয়ে হাইল হাওরেও যেতে হয়। বুরো ও আমন মৌসুমে হাজার হাজার মন ধান এই রাস্তা দিয়েই আনানেয়া করা হয়। বর্তমানে এই ব্রীজ দিয়ে ট্রাক ডায়না, ফিকাপ গাড়ী, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস চলাচল করতে পারেনা। এতে কৃষকদের ধান আনা নেয়া করতে খুবই কষ্ট হয়। গ্রামে কোন মালামাল নিতে হলেও সরকার বাজার রেখে বিকল্প ব্যবস্থায় নিতে হয়। তিনি জানান, বর্ষায় এই ব্রীজের উপর দিয়ে পানি যায়। তাছাড়া পানির ¯্রােতে ব্রীজটি নড়তে থাকে। কিন্তু মানুষ নিরুপায়, তাই ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রীজের উপর দিয়েই চলাচল করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জসীম আহমদ কামাল জানান, শুধু বদে আলীশা নয় এই রাস্তা দিয়ে রাজপাড়াসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ আসা যাওয়া করেন।
আর ভুনবীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, এই রাস্তাটি সরকার বাজার থেকে ভিতর দিয়ে সাতগাঁও চৌমুহনীতে গিয়ে শেষ হয়েছে। এটি বাদে আলীশাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের প্রধান রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটির মূখে আলিয়াছড়ায় নির্মিত ব্রীজটির মধ্যের ফিলারের মাটি সরে গিয়ে দেবেব গেছে। এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আর্কশন করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে তারাও দেখেছেন। ইতিমধ্যে ফ্লাডে ক্ষতিগস্থ মেরামত প্রকল্পসহ বেশ কিছু প্রকল্পে উপরের পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অনুমোদন হয়নি। বর্তমানে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন