মোঃ কাওছার ইকবাল, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারঃ
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক জননন্দিত ও সফল চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এম এ রহিম গুরুতর অসুস্থ।
উনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে মৌলভীবাজার লাইফ লাইন হাসপাতালে ও পরে অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে গতকাল ৭ এপ্রিল শুক্রবার সিলেট মাউন্ট এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় সবসময় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতেন এম এ রহিম। বার বার আবেদন করেও বিফল হন বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে সন্তানদের মনেও একধরনের চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সম্তানদের জোরালো দাবী, মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, জনসেবা ও দলীয় কর্মকান্ডে যিনি বিশাল ভূমিকা রেখেছিলেন। জীবন বাজী রেখে দল গঠন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই মানুষটিকে জীবদ্দশায় সম্ভব না হলেও মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় স্থান দিয়ে যেন সম্মানিত করা হয়।
তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা। শ্রীমঙ্গল থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা। উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা, উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শ্রীমঙ্গল শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাপ্তাহিক শ্রীভূমি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, উদীচী শ্রীমঙ্গলের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ দুই দশক এম এ রহিম দ্বায়িত্ব পালন করেন।
পূর্বের চেয়ে শারিরীক অবস্থার কিছুটা উন্নত হলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ছেলে এবং মেয়ে বাবাকে দেখাশুনা করছে। বিষয়টি উনার ছেলে ব্যাংকার রোমান আহমেদ রুম্মন নিশ্চিত করেছে।
উনার দ্রুত সুস্থতার জন্য একমাত্র ছেলে ঢাকায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে কর্মরত রোমান আহমেদ রুম্মন ও হবিগঞ্জে বসবাসরত মেয়ে রুমানা আক্তার ঝুমু এবং আত্মীয় স্বজনের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করা হয়েছে।