মোঃফাহিম মোল্লা, চরফ্যাশন :
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন চর কলমী ইউনিয়নে এক জেলে পরিবারের ওপর হামলা করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী জব্বর মাল ও তার লোকজন। রোববার উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন চর কলমী ইউনিয়নের মায়া নদী সংলগ্ন উত্তর চর মঙ্গল গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ফরহাদ, রাসেল, ফয়সাল, খাদিজা ও রুমাসহ পাঁচজন গুরুত্বর আহত হয়ে চরফ্যাসন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারীরা দুলারহাট থানাধীন আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
সোমবার (১০ এপ্রিল) এ ঘটনায় আহত খাদিজা বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে চরফ্যাসন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আহত ফরহাদ হোসেনের মা ফাতেমা বেগম অভিযোগ করেন, তার ছেলে ফরহাদ পেশায় একজন জেলে। নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারনে তার ছেলে ৩ একর ২০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করে। বৃষ্টিতে বেশিরভাগ তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে এবং কিছু তরমুজ অবশিষ্ট আছে যা বিক্রি করার মতো। ঘটনার পাঁচ দিন আগে প্রভাবশালী জব্বর মাল প্রতি পিস তরমুজ ১০টাকা করে তার ট্রাক্টর দিয়ে টানার জন্য প্রস্তাব দেয় ফরহাদ হোসেনকে। প্রস্তাবে ফরহাদ রাজি না হওয়াতে জব্বর মাল তাকে দেখে নেওয়া হুমকি দেয়। রোববার সকালে তার এক পুত্রবধু নদীতে গোসল করতে গেলে অনেকগুলো চিংড়ি মাছ দেখে ফরহাদ, রাসেল ও ফয়সালকে ডেকে বলে নদীতে প্রচুর পরিমান চিংড়ি মাছ। এ খবর পেয়ে তারা সেখানে গিয়ে কিছু মাছ ধরে বাসায় নিয়ে আসে। তার কিছুক্ষন পর জব্বর মাল, রাকিব, সত্তর মাল, সবুজ, আওলাদ, সাদ্দাম, বাবুল হাওলাদার ও সাইফুল ইসলামসহ তাদের বাসায় এসে বলে আমাদের যায়গা দিয়ে চিংড়ি মাছ ধরার সাহস দিলে কে এ নিয়ে প্রথমে গালমন্দ করে। পরে জনসম্মুখে এলোপাথারি মারধর করতে থাকে। এতে ফরহাদ, রাসেল, ফয়সাল, খাদিজা ও রুমাসহ পাঁচজন গুরুত্বর হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, তরমুজ টানার বিষয়কে কেন্দ্র করে তার তিন ছেলে ও দুই পুত্রবধুর উপর এই হামলা চালায়।
অভিযুক্ত জব্বর মাল জানান, তার জমি সংলগ্ন মায়া নদীর তীরে ফরহাদের পরিবারের লোকজন প্রতিনিয়ত মাছ ধরে আসছে। তাই রোববার কথার কাটাকাটি থেকে এই হামলার ঘটনার ঘটে।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটওয়ারী জানান, এরকম একটি ঘটনা শুনেছি। তবে একটি পক্ষ চরফ্যাসন আদালতে মামলা দায়ের করেছে।