চরফ্যাশন ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে মোরশেদা (৩৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী গৃহবধুকে কুপিয়ে হাতের কব্জির রগ কেটে দেয়ার অভিযোগে শশীভূষণ থানায় মামলা হয়েছে। আহত মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী আবুল কালামের স্ত্রী ছকিনা বেগমসহ সাত জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পরই পুলিশ মামলার ১নম্বর আসামী ছকিনা বেগমকে (৫০) গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ১১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) গভীর রাতে রসুলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোরশেদা ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, তার স্বামী বাচ্চু মালদ্বীপ প্রবাসী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে প্রতিবেশী আবুল কালামের অবিবাহিত দুই মেয়ে রেশমা ও আয়েশা বাগানে দুই যুবকের সাথে কথা বলছিলো। এসময় তার মেয়ে নিশিতা ওই ঘরের দিকে টর্চলাইট দিয়ে আলো ছড়ালে তাদের সাথে তর্কে জড়ায় কালামের পরিবার। তখন কালামের পরিবার তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। গভীর রাতে মোরশেদা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাহিরে গেলে প্রতিবেশী আবুল কালামের স্ত্রী ছকিনা, বড় মেয়ে রেশমা ও ছোট মেয়ে আয়েশা তাকে এলোপাথারী মারধর করে কুপিয়ে তার বাম হাতের কব্জির রগ কেটে দেয়। স্বজনরা তাকে রাতেই চরফ্যাসন উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতের ছোট ঝা ফহিমা বেগম জানান, হঠাৎ ঘরের বাহিরে চিৎকার শুনে তিনি বাহিরে গিয়ে দেখেন মোরশেদা শৌচাগারের সমানে রক্তাক্ত হাত চেপে ধরে মাঠিতে পড়ে আছেন। এসময় আবুল কালামের স্ত্রী ছকিনা , বড় মেয়ে রেশমা ও ছোট মেয়ে আয়েশা পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত আবুল কালামের স্ত্রী ছকিনা বেগম পুলিশ হেফাজতে থাকায় তার বক্তব্য জানাযায়নি। মামলার অপর আসামী ছকিনা বেগমের মেয়ে রেশমা মুঠোফোনে জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় এমনিতেই কথার কাটাকাটি হয়েছে। রাতে তাকে কুপিয়ে জখমের মতো কোন ঘটনাই ঘটেনি।
চরফ্যাসন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জাহিদ হোসেন জানান, ধারালো অস্ত্রে গৃহবধুর বাম হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতের রগ কাটা পড়েছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, আহত গৃহবধু বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর মামলার ১নম্বর আসামী ছকিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।