প্রতিবেদন,এম.মুসলিম চৌধুরী:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পাষন্ড পিতাকে গ্রেপ্তার করেছে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুলাউড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার গিয়াসনগর গ্রাম থেকে নিজ মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত পাষন্ড পিতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
কুলাউড়া থানা সুত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল গভীর রাতে কুলাউড়া উপজেলার গিয়াসনগর গ্রামের আফতাব আলী (চিনু মিয়া) তার ১২ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রী কিশোরী কন্যাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর পর ঘটনা কাউকে না জানাতে মেয়েটিকে ঘরে আটকে রাখে পিতা আফতাব আলী। ঘটনার দুই দিন পর এক পর্যায়ে মেয়েটি পার্শবর্তী লস্করপুর গ্রামে তার নানার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার নানীকে জানায়। ঘটনা শুনে মেয়েটির নানী রোজিনা বেগম আজ ২৫ এপ্রিল সকালে কুলাউড়া থানায় এসে নাতনীকে তার পিতা কতৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
পরে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক পাষন্ড পিতা চিনু মিয়াকে গিয়াসনগর গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষিতা মেয়েটিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে, পিতা কতৃক ধর্ষিত হওয়ার কথা জানায় পুলিশকে।
পরে মেয়েটিকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে পুলিশ। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুছ ছালেক জানান, এ ঘটনায় কুলাউড়া থানার মামলা নং-২৭, তারিখ: ২৫/০৪/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১) মামলা দায়ের হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পিতা কতৃক ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদদ্রাসায় লেখাপড়া করে আসছিল। তার মা আয়েশা বেগম গত দেড় মাস আগে সৌদি আরব চলে যায়। মেয়েটির মা বিদেশে চলে যাওয়ায় তার আরেক বোন ও এক ভাইকে নিয়ে বাবা আফতাব আলী চিনু মিয়ার সাথে বসবাস করে আসছিল।