বোরো ধানের বাম্পার ফলন,পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত চরফ্যাসনের কৃষকরা

মোঃ ফাহিম মোল্লা, চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি:

ভোলার চরফ্যাসনে ইরি-বোরো মৌসুমের ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে সুষ্ঠুভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তারা। তবে এবার ধান রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে উঠানো পর্যন্ত শ্রমিক, সার, কীটনাশক ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ।

কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, এবছর এ অঞ্চলে বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দামও বেশ ভালো কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।

মাঠেমাঠে পাকা ধানের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে তুলনামূলক রোগ-বালাই কম হওয়ায় চরফ্যাসন উপজেলায় এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। ইরি-বোরো মৌসুমের ধান ঘরে উঠাতে কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন কৃষক-কৃষাণীরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র ছিলো ২৭ হাজার ৮ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছে ২৬ হাজার ৩শ ৭৫ হেক্টর। বোরো আবাদে উৎপাদন লক্ষমাত্র ছিলো প্রায় ১লাখ ৪৮ হাজার ৫শ ৪৪ মেট্রিক টন। এরই মধ্যে ৩০-৩৫ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন ৬.৫ মেকট্রিক টন।

উপজেলার হামিদপুর এলাকার চাষিরা জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। ধানে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। গত বছরের প্রাকৃতিক দূর্যোগে বোরো ফসলের যে ক্ষতি হয়েছিল তা পুশিয়ে নিতে পারবেন। তবে এবার সার, কীটনাশক, জ্বালানি তেল ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সুষ্ঠুভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। বাজারে ন্যায্য মুল পেলে লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা উপসহকারী কর্মকর্তা ঠাকুর কৃষ্ণ দাস বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। সামনে ১ সপ্তাহ আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা সুষ্ঠুভাবে ধান ঘরে তুলতে পারবেন। ফলনও হয়েছে ভালো। এবার বাম্পার ফলনের আশা চাষিদের। ন্যায্য মূল্য পেলে এ উপজেলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হবে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে হারবেস্ট্রার মেশিন দিয়ে ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

 

Sudipdash/staffreporter.

শেয়ার করুন