প্রতিবেদক,শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
সরকারি চাকরির শ্বপ্ন নিয়ে পড়ালেখা করছিল ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টির দুই কিশোরী। কিন্তু অভাবের তাড়নায় মাঝ পথে শিক্ষা জীবন থেকে ইতি টানেন দুই তারা। তাদের শ্বপ্নের দেখার গল্প শোনে নতুন করে শ্বপ্ন পূরণের আশা জাগালেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন। তিনি দুই শিক্ষার্থীকে নতুন করে স্কুল ড্রেস থেকে শুর করে জাবতীয় খরচ বহন করে স্কুল ও কলেজে ভর্তি করে দিয়েছেন।
শুক্রবার শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের জুলেখা পান-পুঞ্জি পরিদর্শনে গেলে দেখা হয় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টি পরিবারের ঝরে পড়া দুই শিক্ষার্থীর সাথে।
আলাপ করে জানতে পারেন একজন ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত পড়ালেখা করে অভাবের তাড়নায় লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছেন। সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলা বৈশাখী সুচেন জনায়, লেখাপড়া করে সে সরকারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ার শ^প্ন দেখছিল। অর্থিক অনটনের কারণে পড়ালেখা ইতি টানে সে।
ঝরে পড়া ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টির আরেক শিক্ষার্থী খুশি খংলিয়াম জানায়, শ্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে প্রতিষ্টিত হওয়ার। ইচ্ছা ছিল সরকারি চাকরি করে সংসারের হাল ধরার। সে আশা নিয়ে কলেজে ভর্তিও হয়েছিল। একসময় অভাবেবর তাড়নায় লেখাপড়া ইতি টানে। ঝরে পড়া দুই শিক্ষার্থীর কাছ এসব গল্প শোনে তাদের দেখা শ্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন।
তিনি বৈশাখী সুচেনকে শ্রীমঙ্গল উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ও খুশি খংলিয়ামকে শ্রীমঙ্গল দারিকা পাল মহিলা কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি করে দেন। তাদের স্কুল-কলেজ ড্রেস, বই খাতা কলমসহ যাতীয় খরচ বহন করেন তিনি।
এমন মহতি উদ্যোগের প্রশংসা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দুই শিক্ষার্থীর পরিবার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, তাদের ইচ্ছেগুলো, স্বপ্নগুলোকে সম্মান করি আমরা। আজকের বৈশাখী ও খুশি নিশ্চয় আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কারিগর। উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে আবার শুরু হলো তাদের শিক্ষাজীবন। বৈশাখী সুচেন এখন উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং খুশি খংলিয়াম দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী। একদিন তাদের উদ্যোগে আরেকজনের স্বপ্ন আশার আলো দেখবে এই আমাদের প্রত্যাশা।