তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে সরকারী ভাবে বিনা মূল্যে ১২০ জন কৃষককে দেয়া হয়েছে উন্নতমানের পেঁয়াজের বীজ ১ কেজি করে, ডিএপি ২০ কেজি ও এমওপি ২০ কেজি এবং নানা উপকরন দেয়া হয়েছে। বীজতলা তৈরিতে কৃষকের পাশে থেকে যাবতীয় কার্যক্রম ও সহযোগীতা করছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। এতে করে পেঁয়াজ চাষে নতুন ভাবে ঝুকছেন উপজেলার কৃষকরা। ফলে পেঁয়াজ চাষ হলে প্রচুর লাভবান হবেন বরেন্দ্রভূমির কৃষকরা বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষি দপ্তর। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১২০ জন কৃষককে পেঁয়াজ চাষের জন্য সরকারী ভাবে বিনা মূল্যে প্রনোদনা দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে সহকারী কৃষি অফিসারেরা প্রতিনিয়ত পেঁয়াজের বীজ তলা তৈরিতে সহযোগীতা করছেন। কারন অতীতে উপজেলায় এভাবে পেঁয়াজ চাষ বা বীজ তলা হয়নি। দু চার জন কৃষক বিভিন্ন হাট থেকে পেঁয়াজের গাছ এনে রোপন করতেন। কিন্তু এবার কৃষি অফিসের তত্বাবধায়নে বীজ তলা শুরু হয়েছে। পৌরসভার উপসহকারী কর্মকর্তা (বিএস) ইমদাদ জানান, পৌর এলাকার কালিগঞ্জ রায়তান বড়শোগ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের পেঁয়াজের বীজতলায় বীজ বপন হয়ে গেছে। বীজ তলা তৈরি ও বপনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হয়েছে।উপরে পলেথিনের কাগজ, দড়িসহ নানা উপকরন পেয়েছেন কৃষকরা। পানি বের করার জায়গাসহ সব রকম কাজ শেষ হয়েছে। ওই এলাকার কালাম নামের আরেক কৃষকেরও বীজ বপন হয়ে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে তালন্দ গ্রামের ওবাইদুল ও সুমাসপুর গ্রামের কৃষক জাইদুর বীজ বপন করবেন। শুধু বীজ বপনের কাজ না, বীজ উত্তোলন ও রোপন পর্যন্ত সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনে কাজ করতে হবে আমাদেরকে। কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, স্থানীয় সাংসদের নির্দেশনা মোতাবেক সরকারের পক্ষ থেকে ১২০ জন কৃষককে পেঁয়াজ চাষে প্রনোদনা হিসেবে বীজ, সারসহ নানা উপকরন দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কৃষকদের জমিতে গিয়ে কিভাবে বীজতলা তৈরির জন্য সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে। পেঁয়াজ বপন রক্ষা করার জন্য যাবতীয় কাজ চলমান রয়েছে। যে পরিমান বীজ দেয়া হয়েছে তাতে করে প্রতি কৃষক এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রোপন করতে পারবেন। সরকারী প্রনোদনা বাদে বীজ তলায় খুব বেশি খরচ হবেনা। রোপনের ৯০ দিনের আগে উত্তোলন হবে। বিঘায় ৮/ ৭ হাজার টাকা খরচ হবে। উন্নতমানের বীজ দেয়া হয়েছে বিঘায় নিম্মে ৬০ মন থেকে উর্ধ্বে ৯০/১০০ মন করে ফলন হবে। গড়ে ৭০ মন ফলন হলে নিম্মে বাজার দর ৫০ টাকা কেজি ধরা হলে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা কৃষকের ঘরে আসবে। ৮০% বীজতলার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আসা করছি পেঁয়াজে এমন লাভ পেলে আগামীতে আরো বেশি চাষ হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।