সিরাজুল ইসলাম ঠাকুর গাঁও প্রতিনিধিঃ
আষাঢ় -শ্রাবণ এই দুই মাস ভরা বৃষ্টির সময় আর এসময় আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত থাকে কৃষক। কিন্তু শ্রাবণের শেষের দিকেও ভরা বৃষ্টির মৌসুমে পানি না হওয়ার কারণে বৃষ্টির অভাবে ঠাকুরগাঁও জেলা সহ হরিপুর উপজেলায় আমন আবাদে বিপর্যয় নেমে এসেছে। বৃষ্টির অভাবে এবং প্রচণ্ড রোদে খাঁ খাঁ করছে বিস্তীর্ণ উঁচু মাঠ। বৃষ্টিনির্ভর আমন আবাদে পানি না থাকায় কৃষকরা যেমন চারা রোপণ করতে পারছেন না তেমনি আগাম লাগানো আমন ক্ষেতে কৃষকরা কৃত্রিম সেচ দিয়ে ফসল রক্ষায় প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ এলাকাতেই সেচ সুবিধা না থাকায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভরা বর্ষা মৌসুমেও পানি নেই পুকুর, খালবিলে। জেলায় পুকুর, খালবিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। পানির অভাবে পাটের জাগ (পাট পঁচানো) দিতে পারছেন না এখানকার কৃৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, এ বছর জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৬৪৪ হেক্টর জমি। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫৫ মেট্রিক টন। যা গত বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। আবাদ হয়েছিল ১৮ হাজার ৬৪০ হেক্টর। যাতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন। হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া, ভাতুড়িয়া, কামারপুকুর,ভুতডাংগী, গেদুরা, ভবানীডাংগী,এলাকা গুলো ঘুরে দেখা যায় পানির অভাবে মাঠের রোপন কৃত চারা গাছ গুলো মরে যাচ্ছে। কৃষক মতলেব হোসেন জানান ভরা পানির মৌসুমে পানি না হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছি মাঠ ঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির বার্তা দিলেন বৃষ্টির দেখা নেই।যার ফলে আমাদের সেচ পাম্প, গভীর নলকূপের সাহায্যে ধান ক্ষেতে পানি নিতে হচ্ছে। টেংরিয়া গ্রামের কৃষক আবুল হাসান জানান, সেচ পাম্প দিয়ে আমন ক্ষেতে পানি নিতে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে একদিকে যেমন ডিজেলের দাম বাড়তির দিকে অপর পক্ষে ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণে গভীর নলকূপ হতে পানি নিতে সমস্যা হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লাভের পরিবর্তে লোকসানের প্রহর গুনতে হবে।