চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশনে এক ভুমিদস্যুর প্রতারনায় এতিমের সম্পত্তি বেদখল। এ ব্যাপরে ভুক্তভোগি পরিবার আদালতে ভুমিদস্যু রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ২৪ জুলাই চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান (সিআর-৪৩৯) মামলা টি আমলে নিয়ে ভোলা সিআইডিকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা যায় ২০১৮ সালের ১৯ শে সেপ্টেম্বর চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন এওয়াজপুর গ্রামের ভুক্তভোগী আক্তার হোসেনের বাবা আবদুল মালেক খোরশেদ মারা যায়। তার নামে ১ একর ৯৬ শতাংশ জমি রেকর্ড ভুক্ত ছিল। আব্দুল মালেকের মৃত্যুর পরে তার সন্তানরা চাকুরির সুবাদে ঢাকার উত্তরায় বসবাস করে। বাবার সম্পত্তি চাষাবাদ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রেজাউল করিমকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। রেজাউল করিম নিয়মিত জমির লগ্নির টাকা পরিশোধ করে আসছে। হঠাৎ চাষা রেজাউল করিম দাবি করে এই জমি তার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে তার বাবা। গত ২০০৫ সালের ২২ ফেব্রæয়ারী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত স্ট্যাম্প তার কাছে আছে। স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর জালিয়াতির সুস্পষ্ট অভিযোগের বিচার চেয়ে আদালতের মামলা করেছি। এ ব্যাপারে রেজাউল করিম বলেন, এই জমি এখন আমার। তার সাফ কথা চুক্তিপত্র অনুযায়ী এই জমির মালিক আমি। আন রেজিস্ট্রি স্টাম্পে চুক্তিপত্র অনুযায়ী জমির মালিকানা দাবি করে চরফ্যাশন সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করেছেন রেজাউল। এদিকে ভুক্তভোগী আক্তার হোসেন বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পরে তার স্বাক্ষর জাল করে রেজাউল একটি স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে জমি দাবি করে। বাবা জীবিত থাকাবস্থায় রেজাউল কখনও জমির মালিকানা দাবি করে নাই। দলিল লেখক শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারীর বলেন, রেজাউল করিম তার কাছ থেকে স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র লিখিয়ে নিয়ে গেছেন। আমার সামনে কারও স্বাক্ষর নেননি। শশীভুষণ সাব- রেজিস্টার বলেন, আন রেজিস্ট্রি বায়না চুক্তির আইনগত কোন বৈধতা নেই। সরকার আইন করেছে দলিল যার জমি তার।