চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নে সামদ্রিক জেলেদের মাঝে বিশেষ ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলেদের অভিযোগ, সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত বিশেষ ভিজিএফ’র চাল প্রকৃত অধিকাংশ জেলেকে না দিয়ে ব্যবসায়ী এবং জেলে নয় এমন ব্যক্তিদেরকে দেয়া হচ্ছে । এছাড়া ত্রিশ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও তারা চাল পেয়েছেন ২৫থেকে ২৭কেজি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। চাল কম দেয়ার অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ওই ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়াডের কামরুল ইসলাম তিনি কেরামতগঞ্জ বাজারে ব্যবসা করেন। তিনি জেলে না হয়েও ২৭কেজি চাল পেয়েছেন। ৩নম্বর ওয়ার্ডের রফিক হাওলাদারের ছেলে মইন উদ্দিন বাবার পক্ষে এসে চাল নিয়েছেন। তিনি চাল পেয়েছেন ২৫কেজি ৪শ গ্রাম। মইনুদ্দিন জানান, তার বাবা জেলে নয়,ব্যবসা করেন। হারুনের বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে তিনি জেলে না হয়ে ও ৩১ কেজি চাল পেয়েছেন। জানাগেছে, হারুনের চাচাতো ভাই ইউনিয়ন পরিষদে চাল পরিমাপকারী হওয়ায় তিনি পাপ্যর চেয়ে বেশি চাল পেয়েছেন। ৩নম্বর ওয়াডের চর নাজিম উদ্দিন গ্রামের খলিল মাঝি প্রকৃত জেলে। তিনি চাল পেয়েছেন ২৭কেজি। বেশ কয়েক জন জেলে চাল ওজন করে জানান, ২৫ থেকে ২৭কেজির উপরে কেউ চাল পাননি। জেলেদের অভিযোগের ভিডিও এবং অডিও বক্তব্য এ প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে জানান, জেলেদের মাঝে এ চাল ফ্রি দেয়ার কথা থাকলেও প্রতি জনের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। গত ট্রিপে ৩৫কেজি চাল দেয়া হলেও এবার চাল কম দেয়ায় তারা ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন।এসব জেলেরা জানান, এক হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে এই অভিযোগ কে দিয়েছে জানতে পারলে তাকে আর চাল দিবেনা এই ভয়ে অনেকেই টাকা দিয়েও মুখ খুলছেনা। জেলেদের বাহিরে ব্যবসায়ীরা কিভাবে চাল পায় এর জবাবে ইউপি সচিব মো. আলম বলেন, এদেশের তালিকাই এই ভাবে হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো.আব্দুল হাই বলেন, জেলেদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। প্রতিপক্ষরা এটা অপপ্রচার করছে। চাল কম দেয়ার বিষয়টির উত্তর এড়িয়ে যান চেয়ারম্যান। চাল বিতরণ তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা সমবায় অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, চাল বিতরণ কালে আমি উপস্থিত ছিলাম।তাদেরকে চাল ঠিক মতো দিতে বলি কিন্তু তারা না শুনলে কি করার আছে। উপজেলা নিবাহী অফিসার নওরীন হক বলেন, প্রকৃত জেলেরা যাতে ত্রিশ কেজি করে চাল পায় সে বিষয়ে আমি সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে বলে দিব। কাহারো কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।