আল আমিন ইসলাম শামীম দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি:
মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীর দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও মন্তব্য করায় ভোলার দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাইহান আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়। মুহূর্তে বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পদ থেকে অব্যাহতির কারণ হিসেবে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভোলা জেলা শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতি আদর্শ পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাবিউর রহমান রাফি, মেহেরাব হোসেন মিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাশরাফি চৌধুরী ও প্রচার সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রাজকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধীর দায়ে সাজাপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর দিন দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহরাব হোসেন মিরাজ তার ফেসবুক টাইম লাইনে লিখেছেন, মধুর কণ্ঠের কুরআনের পাখির মৃত্যু। আহ্, এমন সংবাদে হৃদয় ভেঙে গেল- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অব্যাহতি পাওয়া মেহেরাব হোসেন মিরাজ জানান, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর আমি মুসলিম হিসেবে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। একটা মানুষ মারা যাওয়ার পর মুসলিম হিসেবে যেটা বলার, আমি সেটা বলেছি। সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার মতো কোনো কাজই আমরা চারজনের কেউই করিনি। তবে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদিকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে পদ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দৌলতখান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন সৌরভ খান বলেন, তারা যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। যা তারা সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড করেছে। এ জন্য তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদ জালালাবাদ বার্তা.কম কে জানান, তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ও সংগঠনের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকেছে, তাই তাদেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কোনো ছাত্রলীগ নেতা যদি দলীয় শৃঙ্খলা ও সংগঠনের পরিপন্থী কোনো কাজ করে থাকে। তাহলে তাদেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।