কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের সকল অফিস, থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্থাপিত হলো ‘প্রায়োরিটি চেয়ার’

এস এম নুরুল আমিন জেলা প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম শোকের এই মাসে শোককে শক্তিতে রূপান্তরের অভিপ্রায়ে কুড়িগ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে পুলিশের সকল স্থাপনায় স্থাপিত হলো *’প্রায়োরিটি চেয়ার’*। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্থাপিত প্রায়োরিটি চেয়ারে বসে এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন কুড়িগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক জনাব আব্দুল হাই সরকার। কুড়িগ্রাম সার্কেল অফিসে প্রায়োরিটি চেয়ার এর সূচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল বাতেন সরকার এবং কুড়িগ্রামের সদর থানায় প্রায়োরিটি চেয়ারের সূচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ মহির উদ্দিন। বয়সের ভারে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জমিজমা, সন্তান সন্তানাদি সংক্রান্তসহ নানাবিধ কাজে প্রায়ই পুলিশের কাছে বা থানায় আসেন। পুলিশের স্থাপনায় এসে তারা যাতে গর্বিত অনুভব করেন সে জন্যই তাদের সম্মানার্থে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের সকল স্থাপনায় এই প্রায়োরিটি চেয়ারটি সংরক্ষিত থাকবে। একই সাথে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করণার্থে সিনিয়র সিটিজেন, প্রতিবন্ধী নাগরিক, গর্ভবতী নারী, শিশুসহ প্রাধিকারভুক্ত সম্মানিত নাগরিকরা এই প্রায়োরিটি চেয়ার ব্যবহার করবেন। প্রায়োরিটি চেয়ারের যথাযথ ব্যবহারের জন্য জেলা পুলিশ প্রায়োরিটি চেয়ার প্রটোকল নিশ্চিত করেছে। বীরপ্রতীক আব্দুল হাই সরকার কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সত্যিকার অর্থে আমি গর্বিত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পুলিশ সদস্যদের ইতিবাচক কার্যক্রম এই বয়সেও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমি কুড়িগ্রাম জেলার সকল পুলিশ সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব রুহুল আমিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অফুরন্ত অনুপ্রেরণার উৎস। পুলিশ সুপার মহোদয়ের অনুপ্রেরণায় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থাকতে জেলা পুলিশ সদস্যরা সবসময় প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা করেন। এই নতুন ক্ষুদ্র উদ্যোগ আমাদের সেরকমই এক প্রচেষ্টা।

শেয়ার করুন