নকল পণ্য ঠেকাবে হলোগ্রাফিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ট্যাগ

চরফ্যাশন (ভোলা)প্রতিনিধি:

নকল পণ্য ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। বাজারে কোনো পণ্যের চাহিদা বাড়লে তা নকল করে বাজারজাত করছে প্রতারক চক্র। এতে যেমন পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়ে তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন ভোক্তারা। বিশেষ করে ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য, প্রসাধনী সামগ্রী ও প্যাকেটজাত দ্রব্য নকল হচ্ছে বেশি। এসব পণ্য নকল হওয়া ঠেকাতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে উদ্ভাবনী চিন্তা শেয়ার করেছেন ভোলার চরফ্যাশনের মো. সাইফুল ইসলাম মুকুল নামের এক যুবক। তিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন। উদ্ভাবক সাইফুল ইসলাম মুকুল বলেন, নকল পণ্য ঠেকাতে আধুনিক প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। যার মধ্যে অন্যতম হলোগ্রাফিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ট্যাগ। এই ট্যাগটিতে কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তা সংবলিত একটি কিউআর কোড থাকবে। এটি মূলত পণ্যের উৎপাদনস্থল থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ চেইন চক্রে নিরাপত্তার একটি স্তর যুক্ত করে এবং নকল পণ্যগুলোকে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয়। প্রযুক্তির বদৌলতে স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিবেশক, খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তা তাৎক্ষণিক পণ্যের সত্যতা শনাক্ত করতে পারে। এতে কোম্পানির ব্র্যান্ডের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে গ্রাহকদের আস্থা ও সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। ওই যুবক আরও বলেন, নকল পণ্যের উৎপাদন বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিম্নমুখী হবে এবং সরকার রাজস্ব হারাবে। সবচেয়ে বেশি এর প্রভাব পড়বে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ওপর। উৎপাদনশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। কেননা, তাদের উৎপাদিত পণ্য ভোক্তারা গ্রহণ করেন। আমি গত এক বছর ধরে এমন একটি সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অর্থের অভাবে প্রযুক্তি ও পরিকল্পনাটি বাস্তবে রূপ দিতে পারিনি। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বা কোনো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে পুরো সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করা যাবে। এর ফলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল পণ্য শনাক্ত করা যাবে।

শেয়ার করুন