কমছেই না রোদের চোখ রাঙ্গানী

সিরাজুল ইসলাম হরিপুর ঠাকুরগাঁওঃ

সারাদেশের ন্যায় ঠাকুর গাঁও জেলা সহ বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ এবং ভেপসা গরম। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে রোদের চোখ রাঙ্গানী। এতে বিপাকে পড়েছে কোমল মতি শিশু সহ বৃদ্ধরা। গ্রাম গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে একটু স্বস্তির আশায় কেউবা আশ্রয় নিচ্ছে গাছের ছায়ায় শরীর কে শীতল করতে। গেলো বছরের তুলনায় এবছর আবহাওয়ার প্রতিকূলতা কারণে বছরের শুরু থেকে খরা দেখা দিয়েছে এতে বিপাকে পড়েছে প্রান্তিক কৃষক। সাধারণত আমাদের দেশে বৈশাখ মাস থেকে শুরু করে আশ্বিন মাস পর্যন্ত সারা মাঠ ঘাট বৃষ্টির পানিতে ভরে টইটম্বুর হয়ে থাকে কিন্তু বিরুপ আবহাওয়ার কারণে এবছর পানির দেখা না পাওয়ায় প্রথম দিকে আমন চাষে অসুবিধা দেখা দিয়েছিল।তাই বিকল্প হিসেবে গভীর নলকূপ কিংবা সেচ পাম্প দিয়ে আমন ধান রোপন করেছে। ঠাকুর গাঁও জেলার হরিপুর, রানীশংকেল, কাতিহার, রাউনগর,মশানগা,চৌরঙ্গী, ঘুরে দেখা যায় এখানকার প্রান্তিক কৃষক আগাম ফুল কপি চাষ করে বিপাকে পড়েছে, বৃষ্টির অভাবে ফুল কপির চারা গাছ গুলো ঝলসে মরে যাচ্ছে, তাই কষ্ট্য সাধ্য মত এখানকার কৃষক নির্ভর করছে সেচপাম্পে। কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান এভাবে আমন,ফুলকপি চাষ করে আমাদের পোশাবে না তিন-চারদিন পরপর আমাদের সেচ পাম্প দ্বারা পানি নিতে হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে লাভের পরিবর্তে লোকসানে প্রহর গুনতে হবে। কৃষক আবু হানিফ বলেন, আসলে বৃষ্টির সময়ে যখন বৃষ্টি হয়না তখন আমাদের মাঝে হতাশা বিরাজ করে এতে সেচ পাম্প দ্বারা ভালো ফলনের আশা করা যায় না।পথে কোমলমতি শিক্ষার্থী মেহেদী ( ৯)জানায় তীব্র তাপদাহ এবং ভেপসা গরমে আমরা ঠিক মত ক্লাসে মনোযোগী হতে পারছিনা,অনেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩-৩৫ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। মাথার উপরে খাড়া সূর্য, তীব্র গরম অতিষ্ঠ শহর থেকে গ্রামীণ জনজীবন। পল্লী চিকিৎসক মোঃ আকতার ইসলাম জানান এ সময়ে জ্বর সর্দিকাশি, ডায়রিয়া ,রোগীর প্রবনতা বাড়ছে, তাই এ-সময় খাবার স্যালাইন,ডাবের পানি, গ্লুকোজ, সরবত, ঘনঘন খেতে হবে এতে শরীরের পানির শুন্যতা দুর হবে এবং পাশাপাশি গরমের ক্লান্তি ভাব কিছু টা হলেও লাগব হবে।

শেয়ার করুন