মোঃফাহিম মোল্লা, চরফ্যাশন(ভোলা):
শিক্ষার প্রধান উপকরণ কাগজ। গত কয়েক মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাগজের দাম। ফলে বেড়েছে কাগজ-সংশ্লিষ্ট প্রতিটি শিক্ষার উপকরণের দাম। এতে মাসিক ব্যয়ের হিসাব মেলাতে হিমশিম শিক্ষার্থীসহ অভিবাবকরা। চরফ্যাসন সদরের স্টেশনারী ও বইয়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের তৈরি খাতার দাম বেড়েছে প্রায় দেড় গুণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে বইয়ের দামও। ৪০ টাকার ব্যবহারিক খাতা এখন ৫০ টাকা, একরিম কাগজ ৫০০ থেকে বেড়ে ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিপিস কলমের দাম ৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডজন প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সাধারণ ক্যালকুলেটর ৮০ থেকে বেড়ে ১২০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জ্যামিতি বক্স ১০০ থেকে বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চরফ্যাসনের কাগজ ও বই বিক্রেতারা বলছেন, আগে যারা দুই-তিন রিম করে কাগজ কিনতেন তারা এখন এক রিম কাগজ কিনছেন। দাম বাড়ার কারণে অনেক স্কুল শিক্ষার্থী ও অভিভাবক খাতা কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। আগের তুলনায় এবছর বইয়ের দামও বেড়েছে। কাগজের মূল্যবৃদ্ধিতে পাইকারি বেশি দামে কিনতে হয় বলে খুচরা পর্যায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে বিক্রিও কমে গেছে। অন্যদিকে অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দামে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিক্ষা উপকরণ এর দাম। আগে এক রিম কাগজ কিনতে খরচ হতো ৪০০-৪৫০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬শ টাকার বেশি। বেশি দামে কাগজ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। শুধু কাগজের দামই নয় কলমসহ সব ধরনের শিক্ষা উপকরণের দামও বেশি এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। আয়ের সাথে ব্যয় মিলিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ চলাতে কষ্ট সাধ্য হয়ে পরছে। কাগজের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে ফটোকপির দোকানেও আগে যেখানে প্রতি পেজ ফটোকপি ১ থেকে দেড় টাকা রাখা হতো, এখন সেখানে ২ থেকে ৩ টাকা রাখা হয়। ফটোকপির দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রিন্ট ও ফটোকপির কাগজের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।