মৌলভীবাজার আদালতে জামিন পাওয়ায় বিবাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা-গ্রেফতার ২

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার জেলা জজ কোর্টে থেকে জামিন পাওয়ায় বিবাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমন সন্ত্রাসী ঘটনায় আদালত পাড়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়,গত বৃহষ্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার জেলা জজ কোর্ট ৩য় জজ আদালতে যান শ্রীমঙ্গল উপজেলা লামুয়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে ও কাকিয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি কম্পিউটার অপারেটর মনসুর আহমদ। তিনি শ্রীমঙ্গল থানায় একই গ্রামের চাদ মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলামের দায়েরকৃত একটি মামলায় মহামান্য হাইকোর্টের অস্থায়ী জামিন ছিলেন। ওই দিন স্থায়ী জামিন পেতে তিনি জজ আদদালতে যান। আদালত ওই মামলার শুনানী শেষে বিবাদী মনসুর আহমদকে স্থায়ী জামিন প্রদান করেন। জামিন পেয়ে তিনি কোর্টের বারান্দায় আসা মাত্র পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের মৃত রহিম উল্লার ছেলে মহুরি মস্তরি মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মনসুরের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি চোখে,মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক আঘাত প্রাপ্ত হন। তার হাল্লা চিৎকার শোনে কোর্টের ভেতর থেকে দায়িত্বরত পুলিশ ও আইনজীবীরা দৌঁড়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং এ মারামারির ঘটনার সময় পুলিশ হাতে-নাতে ঘটনাস্থল থেকে মস্তরি মিয়ার ছেলে আশরাফুল আলম লিংকন ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ এর ছেলে জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে। বাকীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এসময় মনসুরের আইনজীবীও আহত হন। এসময় আদালত পাড়ায় ভীতির সৃষ্টি হয়। পরে আদালত থেকে মৌলভীবাজার সদর থানাকে খবর দিল পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আদালতের মত পবিত্র স্থানে এরকম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিচারক,আইনজীবীসহ অন্যান্য বিচারপ্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এঘটনায় মনসুর মিয়া বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত দুই আসামী,মস্তরি মিয়া,ফয়সাল ও নজরুল ইসলামকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মনসুর মিয়া জানান,তার নিকট উল্লেখিত আসামীরা বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের চাহিত টাকা দিতে না পারায় তারা তার ওপর এ পর্যন্ত চারটি মিথ্যা মামলা করে। এই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত ও জজ কোর্ট থেকে জামিন নিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কোর্ট ইন্সপেক্টর বিস্তারিত বলতে পারবেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ ইউনুস এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কোর্ট এলাকায় আসামীরা হামলা চালালে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে মস্তরি মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

শেয়ার করুন