এম.মুসলিম চৌধুরী,নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঠান্ডা কম পড়ায় জমে উঠেনি শ্রীমঙ্গলের শীতের কাপড়ের বাজার। নভেম্বর মাস পেরিয়ে গেলেও শীতের মার্কেটে বেচা-বিক্রি না বাড়ায় কাপড় ব্যবসায়ীদের মুখে ফুটে উঠেছে ছিন্তার ভাজ। বছরের এই সময়ে শীতের পোষাকের ভালো ব্যবসা করেন কাপড় ব্যবসায়ীরা। শীতের আগমনকে সামনে রেখে কম্বল, জ্যাকেট-সোয়েটার, মাফলার কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরণের পোষাক সংগ্রহ করে প্রস্তুত থাকেন ব্যবসায়ীরা। তবে ডিসেম্বর মাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন। বৃষ্টি হলে শীত জেকে বসার সম্ভবনা রয়েছে দেশে। শীত নামলে শীতের কাপড়ের ব্যবসা জমে উঠবে বলে প্রত্যাশা করছেন শ্রীমঙ্গলের পোষাক ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার জরেজমিন শ্রীমঙ্গল শহরের পৌরসভা এম সাইফুর রহমান মার্কেটসহ বিভিন্ন কাপড়ের মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শীতের পোষাক ক্রেতা তেমন একটা নেই। ব্যবসায়ীরা দোকান খোলে অলস সময় পার করছেন। কয়েকজন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীত কম পড়ায় এখন বিক্রি জমে উঠেনি। এখন যারা মার্কেটে আসছেন তারা শীতের প্রস্তুতি হিসেবে শিশু ও বয়স্কদের শীতের পোষাক এবং কম্বল কিনছেন।
ডিসেম্বর মাসে শীত পড়লে ব্যবসাও জমে উঠবে। সাইফুর রহমান মার্কেটের রাব্বি ফ্যাশনের মালিক সাব্বির চৌধুরী, জানায়, এ মার্কেটে বিশেষ করে নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতা বেশি আসেন। এছাড়াও পাইকারী কাড় বিক্রি হয় বেশি। মৌলভীবাজার জেলাসহ পার্শবর্তী জেলা হবিগঞ্জ থেকে ক্রেতারা কাপড় কিনে থাকেন এখান থেকে। তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের সুবিধার জন্য এখানে পুরাতন গাট্রির কাপড় বিক্রি হয়। গাট্রিতে বিভিন্ন ধরণের ও সাইজের পোষাক মিলে। এসব পোষাকের দামও নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের ভিতর। অনেক ব্যবসায়ী কাপড়ের গাট্রি খোলেছেন, কিন্তু বিক্রি একেবারে কম হচ্ছে।
তবে শীত বাড়লে বিক্রিও বাড়ার প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। কানটুপি, হাত মোজা, পা মোজা, মাফলার, ফুলহাতা টি সার্ট, গেঞ্জিসহ বিভিন্ন ধরণের পোষাক নিয়ে শহরের ফুটপাতে বিক্রি করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এদের কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বর্তমানে শিশুদের কানটুপি, মোজাসহ বিভিন্ন পোষাক বিক্রি হচ্ছে। তবে শীত পড়লে বিক্রি আরও বাড়বে। শহরের বড় মার্কেটেও বিক্রি তেমন হচ্ছেনা বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন বছরের এ সময়টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর পরিমাণের পর্যটক শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসেন। এবার হরতাল ও অবরোধের কারণে পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলে আসছেন না। পর্যটক না আসায় অন্যান্য ব্যবসার মতো কাপড়ের ব্যবসায়ও ভাটা পড়েছে।