জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ঐতিহাসিক ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি। ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে ৯ ঘটিকার সময় ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেযারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। জানা যায়, ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের গুরুত্বর্পূণ রণাঙ্গণ জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর। ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ধানুয়াকামালপুরের মাটিতে পাক হানাদার বাহিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন। শত্রুমুক্ত হয় ধানূযাকামালপুর। আকাশে উড়ে লাল সবুজের পতাকা। স্বাধীনতার পর থেকেই ৪ ডিসেম্বর নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ধানুয়াকামালপুর মুক্ত দিবস পালনের ঘোষনা দেওয়া হয়। জামালপুরের জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৪ ডিসেম্বর সোমবার ধানুয়াকামালপুর মুক্ত দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। সন্ধ্যায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম আসাফো। অনুষ্ঠান চলাকালে অনুষ্ঠানের মাঝামাঝি সময়ে আজমিন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন যুবক মঞ্চে উঠে শিল্পী ও কলাকৌশলীদের উপর হামলা করে। হামলাকারীরা শিল্পী, কলাকৌশলী ও আয়োজকদের শারিরীক এবং সামাজিকভাবে লাঞ্চিত করে। ঘটনার খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আবু শরীফের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ফলে হামলকারীদের কাছ থেকে রক্ষা পায় শিল্পী ও কলাকৌশলীরা। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থলে পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয় আয়োজক সংগঠন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম আসাফো। এব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম আসাফোর সাধারণ সম্পাদক মাসুমা ইয়াসমিন স্মৃতি জানান, সুন্দর একটি পরিবেশে অনুষ্ঠান চলমান ছিলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আজমিন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে একদল যুবক অনুষ্ঠানস্থলে হামলা এবং বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। ফলে নিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে পরবর্তী অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি জানান, মঞ্চে উঠা নিয়ে সামান্য বিশৃংখলা হয়েছে। পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ছিলো। তবে ঘটনার পর আর কোন অনুষ্ঠান হয়নি। এব্যাপারে পুলিশ টিমের প্রধান বকশীগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আবু শরীফ জানান, মঞ্চে উঠার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় যুবক অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশের উপস্থিতির পর পরিবেশ শান্ত ছিলো।