তানোর প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে রাজশাহীর তানোর পৌর ভবন যেন আওয়ামী লীগের নৌকা ডুবানোর কারাখানাসহ বিদ্রোহীদের আতুর ঘর হিসেবে পরিনত করেছেন নৌকার মেয়র ইমরুল হক বলে মনে করছেন তৃনমূল নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ইমরুল হক নৌকার মনোনয়ন পেয়ে ভোট করে নৌকার মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। অথচ তিনি নৌকার ভোট না করে উল্টো নৌকার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট করছেন। এতে করে ইমরুল হক নৌকার মেয়র হয়ে নৌকার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে ভোট করায় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও বইছে সমালোচনার ঝড়। সেই সাথে উঠেছে আওয়ামী লীগ থেকে দ্রুত বহিষ্কারের দাবি। জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় বুধবার সকালে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার ফুটবল মাঠে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রচারণার জন্য খোলা মঞ্চে প্রোগ্রাম করেন। কিন্তু পৌর মেয়র ইমরুল হককে ডেকেও পায়নি আওয়ামী লীগের নেতারা। তানোর পৌর আওয়ামী লীগের বেশকিছু নেতারা জানান, নৌকা মার্কা নিয়ে ইমরুল হক মেয়র নির্বাচিত হলেও তিনি প্রথম থেকেই নৌকার বিরুদ্ধে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।তার নৌকা বিরোধী কর্মকান্ডে নষ্ট হচ্ছে আওয়ামী লীগের গোছানো সম্ভাবনাময় ভোটের মাঠ। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, আমি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর কাঁচি মার্কার ভোট করছি বুঝতে পেরে এনএসআই ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তারা আমাকে ব্যাপক তাকে চাপ দিচ্ছে বিএনএম এর নোঙ্গর মার্কার ভোট করার জন্য, যদি নোঙ্গর মার্কার ভোট না করি তাহলে আমাকে জেলে পাঠাবে বলেও হুমকি ধামকি দিয়েছে তাঁরা।