ডেস্ক রিপোর্ট:
তবে ওজনে কম দিয়ে গ্রাহকদের সাথে কলি পামওয়েল প্রতারণা করলেও বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। প্যাকেট জাতের মেশিন থাকলেও নেই বোতল জাতের মেশিন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় পামওয়েলের নামে কি খাচ্ছে সাধারণ মানুষ নেই প্রশাসনিক তদারকি? সিলেটে তেল নিয়ে কয়েকটি কোম্পানি নিন্ম আয়ের মানুষের সাথে প্রতারণা করলেও প্রশাসন, বিএসটিআই এবং ভোক্তাঅধিকার খাবার পণ্যের প্রতারণা বন্ধে কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছেনা। খোঁজ নিয়ে জানাযায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর নয়াবাজার এলাকায় সাবেক সফিক কমিউনিটি সেন্টারে দুই বছর থেকে চলছে খাদ্যপণ্যের মতো স্পর্শকাতর অবৈধ তেলের প্রতারণা ব্যবসা। তবে কিছুদিন পূর্বে “কলি ” পামওয়েল এর কর্ণধার কাওছার মিয়া সিলেট বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স পেয়েছেন। অথচ দীর্ঘদিন থেকে কলি নামে ৯০০মিলি ও ৪৫০ মিলি বোতল জাত পামওয়েল বাজারে অবৈধভাবে বিক্রি হয়ে আসছে। বিএসটিআই এবং ভোক্তাঅধিকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে বাজারজাত হয়ে আসছে সেই প্রশ্ন জনমনে ঘোরপাক খাচ্ছে। কলি পামওয়েলের ম্যানেজার এই প্রতিবেদককে বলেন আমার কোম্পানির সাইনবোর্ড থাকবে কি থাকবেনা সেটা আমাদের নিজস্ব ব্যাপার । ৪৫০ ও ৯০০ মিলি দিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন লিটার হচ্ছে কেজি থেকে কম তাই আমরা ৪৫০ ও ৯০০ মিলির বোতলজাত করছি, সাথে ৫০০ মিলি, ১ লিঃ , ২লিঃ ও ৫ লিঃ বোতল আছে। পরে বলেন ৪৫০ ও ৯০০ মিলির অনুমোদনের জন্য সিলেট বিএসটিআই অফিসে আবেদন করা হয়েছে। পরিবেশ এর ছাড়পত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন পরিবেশের ছাড়পত্র লাগে না। সিলেটের সকল তেল কোম্পানি এভাবেই তেল উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছে। ব্যবসা করলে কম বেশী অনিয়ম হবেই। সিলেটে ৬টি কোম্পানি এভাবেই পামওয়েল ও সয়াবিন তেলের ব্যবসা করছে। সরেজমিন গিয়ে দেখাযায় অসাস্থকর পরিবেশে সয়াবিন ও পামওয়েল বোতলজাত করা হচ্ছে। প্যাকেটজাত করার মেশিন থাকলেও বোতলজাত করার কোন মেশিন পাওয়া যায়নি। ডাম ও প্যাকেট থেকে সরাসরি তেল বোতলে ভরা হচ্ছে। একটি বিশ্বস্থ সূএ জানিয়েছে স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলে কলি তেলের প্রতারণা ব্যবসা। এব্যপারে ফেঞ্চুগঞ্জ তেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সম্ভু নাথ সাহা এই প্রতিবেদককে বলেন কুশিয়ারা এডিবয়েল ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির পণ্যে কলি পামওয়েলের লাইসেন্স আছে, পরিবেশের ছাড়পত্র লাগে না, ৪৫০ ও ৯০০ মিলি অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে কিছু অনিয়মও আছে। কুশিয়ারা এডিবয়েল ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির স্বত্ত্বাধীকারী কাওছার আহমদ এই প্রতিবেদককে বলেন ৪৫০/৯০০ মিলির অনুমতি আছে। ওজন কম দিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান কেন প্রতারণা হবে। আমরাতো বোতলের গায়ে তেলের পরিমান লিখে দিয়েছি। এব্যাপারে সিলেট ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা আহবায়ক এর কাছে ওজন কমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন শুধু প্রতারণা নয়, রীতিমতো ডাকাতি। কারণ এদেশের শতকরা আশিভাগ মানুষ সচেতন নয়। তারা দোকানে গিয়েই বলে হাফ লিঃ বা ১লিঃ তেল দিন কুচরা দোকানদার ৪৫০/৯০০ মিলি দিয়েই তাদের চাহিদা পুরন করে। অথচ গ্রাহক বুঝতেই পারছেনা সে ৫০/১০০ মিলি তেল কম নিচ্ছে। অর্থ্যাৎ বোতলের গায়ে পরিমান লিখে সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তিনি আরো বলেন ১লিঃ পামওয়েলে যদি ১০০মিলি কম হয় এবং সিলেট বিভাগে প্রতিদিন যদি ৫০ হাজার লিঃ তেল বিক্রি হয় তাহলে গ্রাহকদের ৫হাজার লিঃ তেল কম দেয়া হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কলি কর্তৃপক্ষ। এব্যপারে সিলেট বিএসটিআই এর উপ-পরিচালক লুৎফুর রহমান এই প্রতিবেদককে জানান কোম্পানির কারখানায় অবশ্যই সাইনবোর্ড থাকতে হবে। কলির লাইসেন্স আছে পামওয়েল উৎপাদন করে বিক্রির । কতদিন হয়েছে লাইসেন্স প্রাপ্তির জানতে চাইলে তিনি বলেন সঠিক বলতে হলে ফাইল দেখতে হবে, তবে বেশিদিন হয়নি। ৪৫০ ও ৯০০ মিলি বোতলজাত করে বিক্রির অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন অনুমতি নেই। আবেদনও আসেনি। এরকম বিক্রি করে থাকলে সেটা আমার জানা নেই , খোঁজ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করবো। চলবে