নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মতিগঞ্জের লইয়ারকুল গ্রামের মোশাহীদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির উপর পূর্ব লইয়ারকুল গ্রামের সুরুক মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি হামলা চালায়। হামলায় মোশাহিদ মিয়া গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় হামলার শিকার মোশাহিদ মিয়ার স্ত্রী জোনাকি আক্তার শ্রীমঙ্গল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। শ্রীমঙ্গল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জোনাকি আক্তার জানান, গত ১ মার্চ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের সময় আমার স্বামী মোশাহিদ মিয়া লইয়ারকুল জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এসময় আমার ভাগনা মো. রানা মিয়াও মসজিদে যায়। নামাজ শেষে ভাগিনা রানা মিয়া মসজিদ থেকে বের হলে বিবাদী সুরুক মিয়া ভাগনাকে রানা মিয়াকে পিছন থেকে ধাক্কা মারেন। পরে বিষয়টি নিয়ে বিবাদীর সহিত ভাগনার কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিবাদী আমার ভাগনাকে এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। পরে আমার স্বামী আমার ভাগনা রানা মিয়া শোর চিৎকার শুনিয়া জামে মসজিদ হইতে বাহির হইয়া বিবাদী সরুক মিয়াকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারার কারন জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন বিবাদী সুরুক মিয়া আমার স্বামীর প্রতি উত্তেজিত হইয়া অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার স্বামী বিবাদীকে গালিগালাজ করিতে বাঁধা নিষেধ করিলে বিবাদী আমার স্বামীর প্রতি পুনরায় উত্তেজিত হইয়া জামে মসজিদ হইতে লোহার রড নিয়ে আমার স্বামীকে প্রানে হত্যার উদ্দেশে। মাথায় বাড়ি মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আমার স্বামী জখমী অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার স্বামীকে এলোপাতাড়িভাবে মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। আমার স্বামীকে রক্ষা করার জন্য বর্ণিত সাক্ষীগন আগাইয়া আসিলে বিবাদী আমার স্বামীকে ভবিষ্যতে সুযোগ মত পাইলে প্রানে হত্যা করিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে। আমার স্বামীকে বিবাদীর কবল হইতে উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। হামলার ঘটনা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন মোশাহিদ মিয়ার স্ত্রী জোনাকি আক্তার।