চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ভোলার চরফ্যাসনের হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকের বন্দোবস্তীয় জমি জবর দখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মিলন পাটোয়ারীদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ৫নম্বর ওয়ার্ডের চরফকিরা গ্রামে দিবালোকে প্রকাশ্য জমি জবর দখল করে ঘর নির্মানের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নাজিম উদ্দিন জানান, তার বাবা আব্দুর রব মা ফাতেমা বেগম এবং দুই ভাই ও দুই ভাইয়ের স্ত্রী হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চর ফকিরা মৌজায় বন্দোবস্ত মোকদ্দমা নম্বর ৪৪১,৪৪৩ এবং ৪৫৭ এফ ২০২১-২০২২ খতিয়ান নম্বর ১৭৩৩,১৭৩৪ও১৭৩৫ মোট ৩ একর ৯৭শতাংশ জমির বন্দোবস্ত সুত্রে মালিক হয়ে ভোগদখলে আছেন। সম্প্রতি একই এলাকার মিলন পাটোয়ারী, মোস্তফা পাটোয়ারী ও আব্দুল হাই,ছাবের পাটোয়ারী,ফারুক পাটোয়ারী ও আবুল কালাম তাদের ভোগদখলীয় জমি নিজেরদের মালিকানা দাবী করে উচ্ছেদের হুমকি ধামাকি দিয়ে আসছিলেন। এনিয়ে তারা থানায় অভিযোগ জানালে শশীভূষণ থানার ওসি ম.এনামুল হক দু’পক্ষকে নিয়ে বিষয়টির সমাধানের দেয়ার জন্য হাজারীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু দির্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তিনি দু’পক্ষকে নিয়ে সমোঝতায় না গিয়ে ইউপি চেয়াম্যান সেলিম হাওলাদার প্রতিপক্ষকে তাদের ভোগদখলীয় জমিতে ঘর উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেন। গতকাল শুক্রবার প্রতিপক্ষ মিলন পটোয়ারীর নেতৃত্বে তাদের ভোগদখলীয় জমি জবর দখল করে ঘর নির্মান কাজ করেন। জমি জবর দখলের বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান সেলিম হাওলারকে একাধিক বার জানালে ও কোন ব্যবস্থা নেননি তিনি। মিলন পাটোয়ারী ও ছাবের পাটোয়ারী জানান, চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদারের নির্দেশে তারা জমির মাটি কেটে ভিটি নির্মান পূর্বক ঘর উত্তোলন করছেন। চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার তার নির্দেশে ঘর উত্তোলনে বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তিনি দু’পক্ষকে নিয়ে বিষয়টির সমোঝতার চেষ্টা চলছে। শশীভূষণ থানার ওসি ম.এনামুল হক বলেন, জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ আছে। ঘর উত্তোলনের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি, তারপরও পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।