নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৯টি ইউনিয়নের ৩৭০জন চাষিকে সুর্যমুখী চাষের জন্য পেয়ে উপজেলায় ১৫২ হেক্টর জমিতে সুর্যমুখী চাষ হয়েছে। বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হলেও অল্প খরচে যা ফলন হয়েছে তাতে চাষিরা খুশি।
জানা গেছে, সূর্যমুখী এক ধরনের একবর্ষী ফুলগাছ। এর বীজ তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তেলের উৎস হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হয়। বাংলাদেশেও একটি তেল ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। সূর্যমুখী তেল অন্যান্য রান্নার তেল হতে খুব ভাল এবং হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যন্ত কম। এছাড়া এতে ভাটামিন এ, ডি এবং ই রয়েছে।
সুর্যমুখী চাষিরা জানান, সুর্যমুখী চাষে খরচ কম লাভ বেশি। লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য চাষিরাও সুর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আগামীতে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সুর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে বলে চাষিরা বলছেন।
শ্রীমঙ্গল কৃষি অধিদপ্তর সুত্র জানায়, ২০১৯- ২০২০ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সরকারিভাবে প্রথম সূর্যমুখী চাষ শুরু হয়। তখন চাষীদের প্রশিক্ষণসহ রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রশিক্ষন ভাতা ও প্রণোদনা বাবদ সার ও বীজ দেয়া হয়। তাছাড়া প্রদর্শনী প্লটের পরিচর্যা, সেচ, আগাছা ও পোকা-মাকড় দমন বাবদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।
শ্রীমঙ্গলের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ৩৭০ জন চাষিকে সূর্যমুখী চাষের জন্য প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এবার শ্রীমঙ্গলে ৫২ হেক্টর অর্থাৎ ১২৯ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।