ঠাকুরগাঁওয়ে তরমুজের দাম চড়া

মোঃ শফিকুল ইসলাম দুলাল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

তরমুজ খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। পানির পিপাসাও কমে। তাই তরমুজ খাওয়া ভাল। ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান উপলক্ষে বাজারে আগাম তরমুজ উঠেছে। তবে মৌসুমি এ ফলের দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে এ ফলটি কেনা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের প্রায় হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। পৌর শহরের কালিবাড়ি, কোট চত্বর, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড, সত্যপীর ব্রীজ, গোধুলী বাজার, মন্দিরপাড়া, ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় তরমুজের অস্থায়ী বাজার। গতকাল বুধবার পৌর শহরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজের বাজারদর ছিল, কেজি প্রতি প্রায় ৬০-৭০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজ বেশি পরিমানে বাজারে উঠেনি। ব্যবসায়িরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রমজানকে লক্ষ্য করে বড় মাপের তরমুজ ঠাকুরগাঁওয়ে এনে বিক্রি করছেন। এতে করে প্রতিটি তরমুজ ১০ থেকে ১৫ কেজি বা এর চেয়েও বেশি ওজনের। ফলে প্রতিটি ১৫ কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৯শ টাকায় যা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। ফলে ক্রেতারা খুব বেশি তরমুজ কিনছেন না। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পিস হিসেবে না বিক্রি করে তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। রমজান মাসেও ঠাকুরগাঁওয়ে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রির বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারে তরমুজ কিনতে আসা রমজান আলী বলেন, রমজান মাসে বাচ্চারা তরমুজ খেতে চায়। কিন্তু এখানে দামাদামি করে জানলাম ৯ কেজি ওজনের তরমুজের দাম ৫৪০ টাকায় কিনতে হবে। এত টাকা দিয়ে কি একটি তরমুজ কেনা সম্ভব। পৌর শহরের জমিদারপাড়া মহল্লার মহসিন আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, তরমুজ কিনতে এসে দাম জেনে চিন্তিত। একটি মাঝারী মানের তরমুজ ৬-৭শ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। তরমুজ কিনব না, আর কিছুদিন পরে যখন আরও বেশি পরিমাণে তরমুজ বাজারে উঠবে তখন ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে হলে কিনব। কালিবাড়ি বাজার, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও রোডের কয়েকজন তরমুজ বিক্রেতা জানান, রোজায় তরমুজের চাহিদা থাকে প্রচুর। তাই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগাম তরমুজ বাজারে আনা হয়েছে। আগাম তরমুজের বর্তমানে দাম কিছুটা বেশি। কেজি প্রতি তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কেনা বেশি হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তারা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় রবি মৌসুমের মোট ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এছাড়াও খরিপ মৌসুমের তরমুজ আবাদ চলমান রয়েছে। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে জেলায় উৎপাদনকৃত তরমুজও বাজারে উঠতে শুরু করবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেনেছি ফলনও ভাল হতে পারে এবং কৃষকেরা এ বছর তরমুজের ন্যার্য্য দাম পাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

শেয়ার করুন