ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ চা বোর্ড কতৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন মূল্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গরে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে মৌসুমের প্রথম চা নিলাম অনুষ্টিত হয়েছে। নিলামে ৮৪ হাজার কেজি চা তোলা হলেও বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০ হাজার কেজি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে লোহাইনী বাগানের চা এবং তাদের বাগানের গ্রীন টি বিক্রি হয়েছে ১২শত টাকা দরে। এছাড়াও ক্লোনেল চা বাগানের প্রতি কেজি চা ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। নিলামে দেশের বড় বায়ার ও বেন্ডার না আসায় চা বিক্রি কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে শ্রীমঙ্গল জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নিলাম উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি। তিনি চা নিলাম কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরআই এর পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলামসহ টি বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, টিপিটিএবির সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুনসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ।
বড় বায়ার ও বেন্ডার না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, বায়াররা যেখানেই তাদের চাহিদা মোতাবেক চা পাতা পাবেন সেখানেই নিলামে অংশগ্রহণ করবেন। তারা তাদের লাভ লোকসান হিসাব করেই নিলামে অংশগ্রহণ করবে। সেটা শ্রীমঙ্গলেই হোক, পঞ্চগড়ে হোক বা চট্টগ্রামেই হোক। এজন্য নিলাম আয়োজকদের আরও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে, বিশেষ করে স্থানীয় ব্রোকার্সদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এব্যাপারে আমাদের আদেশ, নির্দেশনা ও পরামর্শ রয়েছে। আমরা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। তিনটি ব্রোকার হাউসের মাধ্যমে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন বাগানের প্রায় ৮৪ হাজার কেজি চা নিলামে নিলামে তোলা হয়। লিকার রেটিংয়ের ওপর ভিত্তি করে নিলামে তোলা চায়ের গ্রেড ভাগ করে সর্বনিম্ন মূল্য ১৬০ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়। চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ২০২৪-২৫ মৌসুমে (২রা মে ২০২৪ থেকে ৬ই মে ২০২৫) মোট ১০০টি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৫০টি, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ২৬টি এবং পঞ্চগড়ে ২৪টি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
মৌসুমের প্রথম চা নিলামে বিক্রি কম, সর্বোচ্চ ধরে বিক্রি হয়েছে লোহাইনী বাগানের চা
শেয়ার করুন