মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

জালালাবাদ বার্তা সংবাদ :

এ উপলক্ষে দূতাবাসে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন দেশীয় খেলা, বিনোদনমূলক কার্যক্রম এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী U Soe Thein ও তার পত্নী, মেয়র U Bo Htay ও তার পত্নী, কূটনৈতিক মিশনের প্রধানগণ, অন্যান্য কূটনীতিকবৃন্দ, মিয়ানমারের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন তার সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের দেশ। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ শুধু একটি উৎসব নয়; এটি রাষ্ট্র ও সংস্কৃতির সীমারেখা ছাড়িয়ে নতুন আশা, পুনর্জাগরন এবং ঐক্যের চেতনার উদযাপন যা আমাদের ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি আরো বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের মানুষের সমৃদ্ধ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহজাত সাংস্কৃতিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ যা আমরা বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে উপস্থাপন করি। মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি আমাদের ঐক্য ও সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ যা আমাদের জাতির চালিকাশক্তি।
মঙ্গল শোভাযাত্রা UNESCO ঘোষিত Intangible Cultural Heritage হিসাবে স্বীকৃত। তিনি সবাইকে পহেলা বৈশাখের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বিশ্বকে সমৃদ্ধ করে এমন সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করতে আহ্বান জানান।
সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা হয় বিখ্যাত ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি দিয়ে। এছাড়াও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক আয়োজন যেমন পুতুল নাচ, সাপের খেলা, জাদু এবং বিঙ্গো আয়োজন করা হয়। এছাড়াও অতিথিরা মজাদার খেলা যেমন বেলুন শুটিং, ডার্ট থ্রো-তে অংশগ্রহণ করে।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বিভিন্ন বাংলাদেশি খাবার যেমন পান্তা-ইলিশ, ভর্তা, বিভিন্ন ধরনের পিঠা, চটপটি, মিষ্টি, কুলফি, নাড়ু, বিভিন্ন তাজা পানীয় দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দূতাবাসকে দৃষ্টিনন্দন রংবেরঙের বর্ণিল ছাতা, মুখোশ, আলোকসজ্জা এবং আলপনা দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। আগত অতিথিরা অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শহীদুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা।
শেয়ার করুন