মোঃফাহিম, চরফ্যাসন(ভোলা)প্রতিনিধি:
ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বেশ কয়েকদিন ছুটি থাকার কারণে গ্রামে এসে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদ্যাপন শেষে রাজধানী ঢাকায় ছুটছে কর্মজীবী মানুষ। তবে পদ্মা সেতু হওয়ার কারনে ভোলার চরফ্যাসন থেকে কেউ বাসে আবার কেউ লঞ্চে করে ঢাকা ছুটছেন। এতে করে লঞ্চে যাত্রীর চাপ খুব বেশি নেই। এ জন্য ঈদের ৬ষ্ঠ দিনে অনেকটা স্বস্তিতেই ঢাকায় যাচ্ছেন কর্মজীবী মানুষরা। গতকাল শনিবার (২২ জুন) চরফ্যাসন উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট লঞ্চঘাটে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে সাব্বির-২ ও ইয়াদ-১ নামের দুটি লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকার উদ্দেশ্যে। তবে রোববার থেকে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকার কারনে শনিবার যাত্রীর চাপ আরও বেড়েছে বলে ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোঃ জাকির হোসেন জানান, “পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে আবার ঢাকায় যাচ্ছি। এবার ঢাকা থেকে গ্রামে আসতে তেমন কোনো ভোগান্তি হয়নি। তবে জার্নি করার সবচেয়ে আরামদায়ক বাহন হচ্ছে লঞ্চ। এজন্য অনেকেই লঞ্চে যাতায়াত করেন।” লঞ্চ যাত্রী মোসাঃ হাফছা সংবাদ সারাবেলাকে জানান, “ঈদ মৌসুমে বিগত বছরগুলোতে দেখেছি ঢাকা থেকে গ্রামে আবার গ্রাম থেকে ঢাকায় লঞ্চে করে যেতে খুব কষ্ট হয়েছে যাত্রীদের। তখন যাত্রীর চাপ ছিলো বেশি। তবে পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে অনেকেই গ্রাম বা ঢাকায় ছুটছেন বাসে করে। এতে লঞ্চে যাত্রীর চাপ কম থাকায় অনেকটা স্বস্তি লাগছে।” ইয়াদ-১ লঞ্চের কেভিন সুপারভাইজার মোঃ সবুজ জানান, ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে প্রতিটি ট্রিপে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম ছিলো। তবে ঈদের পরে ধীরে ধীরে যাত্রী কমে যাওয়ার কারণে হতাশ তারা। চরফ্যাসন উপজেলাধীন দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, ঘোষেরহাট লঞ্চঘাটে এবার কঠোর নিরাপত্তা থাকার কারনে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে যাত্রীদের স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করছে।
