বিশেষ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি বাড়িতে ডুকে ইঁদুর মুখে নিয়ে লাকড়ির স্তুপে বসে গিলছিল একটি কৃষি উপকারী নির্বিষ দাঁড়াশ সাপ। সাপটিকে দেখে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার মনে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন। পরে সাংবাদিক মামুন আহম্মেদকে বিষয়টি জানান বাড়ির মালিক মোস্তফা মিয়া। সাংবাদিক মামুন আহম্মেদ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল।
সাংবাদিক মামুন আহম্মেদ জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে সাপ ডুকার বিষয়টি আমাকে জানালে, সাপটি উদ্ধার করার জন্য আমি বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালককে সজল দেবকে জানাই। পরে আমিসহ সজলদেব ওই বাড়িতে গিয়ে লাকড়ির ঘর থেকে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, স্থানীয়রা বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার মনে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে আমি লাকড়ির স্তুপ থেকে দাঁড়াশ সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছি। সাপটিকে বন বিভাগের মাধ্যমে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে। সজল দেব আরও জানান, দাঁড়াশ সাপের প্রধান খাবার ইঁদুর। এর ইংরেজি নাম ওহফরধহ জধঃ ঝহধশব বৈজ্ঞানিক নাম চঃুধং সঁপড়ংধ। এরা দৈর্ঘ্যে ২০০ সেন্টিমিটার থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফসলের ক্ষতিকর ইঁদুর খেয়ে এরা কৃষক এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্যের অভাবনীয় উপকার করে আসছে। এই উপকারী সরীসৃপ প্রাণীটির প্রতি আরো সচেনতা বাড়ানোর কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁড়াশ সাপটি যেমন নির্বিষ তেমন একেবারে নিরিহ প্রজাতির প্রাণী। হাত দিয়ে ধরলেও বেশি নড়াচড়া করে বা রেগে উঠে না। তবে কোনো কারণে এই সাপ রেগে গিয়ে কাউকে যদি কামড়ও দেয় তাতেও কিছুই হবে না।
শ্রীমঙ্গলে বাড়ির ভিতর থেকে দাঁড়াশ সাপ উদ্ধার
শেয়ার করুন