প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য চর কুকরি-মুকরি

মোঃ ফাহিম, চরফ্যাসন (ভোলা)প্রতিনিধি:

মেঘনা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা এক অপূর্ব দ্বীপ চর কুকরি মুকরি। ভোলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে প্রকৃতির এক অপরূপ বিস্ময়। এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। বলা হয় আরেকটি সুন্দরবন। এখানে কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া পাওয়া যায়।

চর কুকরি মুকরি যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। আপনাকে প্রথমে যেতে হবে চরফ্যাসন উপজেলার সদর থেকে চর কচ্ছপিয়া। দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার।

ট্রলার ঘাট থেকে স্পিডবোডে যেতে হবে চর কুকির মুকরি।খালের ভিতর দিয়ে যাবার পথে দুই পাশে সুন্দরবনের অবয়ব নিয়ে সারি সারি ম্যানগ্রোভ বন। খালটির নাম ভারানী খাল। বোড থেকে নেমেই সুন্দরী, গেওয়া, গড়ান, শ্বাসমূলীয় গাছের বনজুড়ে গোলপাতার সমাহার। এই বনে আছে হরিণ সহ নানা প্রাণীর বিচরণ।

শীতে এটি হয়ে ওঠে পরিযায়ী পাখির অভয়ারণ্য । বর্ষায় মরা খাল গুলোতে জাগে নতুন পানির জোয়ার।ধুধু বালিয়ারির উপরে দাঁড়ালে সাগরের হাতছানি। স্থানীয় মানুষ জন বলেন বালুর ধুম। কুইন আইল্যান্ড অব বেঙ্গল নামে পরিচিত এই চরে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মায়াবী দৃশ্য যে কারো মন কাড়বে। স্থানীয়রা মূলত মৎস্যজীবী।গত দের দশকে পর্যটক খাতে এই এলাকার উন্নয়নের সন্তুষ্ট এলাকাবাসী।

চরফ্যাসনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সালেক মূহিদ জানান,পর্যটকদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলছেন প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এই পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নের কাজ চলছে। যা জেলার অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। স্থানীয় সংসদ সদস্য বলছেন ভোলা-বরিশাল সেতু হলে পর্যটন শিল্পের আরো উন্নতি হবে। গেল কয়েক বছরে পর্যটন শিল্পের চর কুকরি মুকরির গুরুত্ব বেড়েছে।তবে পর্যটক বাড়াতে গিয়ে দালান কোটা নির্মাণ করে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নষ্ট না করার আহ্বান জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।বলা হয় দক্ষিণ অঞ্চলের সাগর বেষ্টিত চর কুকরি মুকরি একটি স্বর্গরাজ্য। কক্সবাজার ও কুয়াকাটা পরে এটি হয়ে উঠতে পারে পর্যটনের আরো একটি আকর্ষণীয় স্থান। তাই স্থানীয়দের দাবি পর্যটকদের সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি যেন যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উন্নত করা হয়।

শেয়ার করুন