এসব কারখানার মধ্যে ১৩৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে ৮৬টি কারখানা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসব তথ্য জানান আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১–এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
আশুলিয়ায় আজ সকালে কারখানার কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। তবে কিছু কারখানায় শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ করে বসে থাকেন। তখন কারখানাগুলোয় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘গতকাল থেকে আমরা শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগদান ও কাজ করতে মাইকিং করেছি। এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়, সে বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা হচ্ছে। দাবিদাওয়া নিয়ে যেসব বিরোধ রয়েছে, তা কীভাবে নিস্পত্তি করা যায়, তা নিয়েও কথা হচ্ছে। কলকারখানা অধিদপ্তরের যাঁরা মাঠপর্যায়ে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গেও আলাপ–আলোচনা চলছে।
সারোয়ার আলম আরও বলেন, আজ শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ আছে ৮৬টি কারখানা। ১৩৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেগুলো খোলা আছে, এর মধ্যে কিছু কারখানায় দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়নি।